Kinjal Nanda: 'যতদিন বিচার না পাচ্ছি, ভাইফোঁটা নেব না', আরজি করার নির্যাতিতার নামে শপথ কিঞ্জলের
Kinjal Nanda on RG Kar: কি লিখেছেন কিঞ্জল? তিনি লিখেছেন, 'ভাই হিসেবে আগলে রাখতে পারিনি, বাঁচাতে পারিনি। যতদিন বিচার না পাব, ভাইফোঁটা নেবো না, রাখীও পরবো না। সেই যোগ্যতা হারিয়েছি।'
কলকাতা: আজ ভাইফোঁটা। মঙ্গলকামনায় ভাইয়ের কপালে বোনের ফোঁটা এঁকে দেওয়ার দিন। আর ভাইয়ের কথা দেওয়ার দিন বোনকে আজীবন রক্ষা করার। কিন্তু আরজি করের ঘটনার পরে যেন বদলে গিয়েছে সবটা। ৮০-র ও বেশি দিন পেরিয়ে গিয়েছে, এখনও বিচার মেলেনি। এই ঘটনা যতটা দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছে একটা সাদামাটা পরিবারকে, ততটাই আঘাত করেছে দেশবাসীর মনেও। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ভাইফোঁটার দিন শপথ গ্রহণ করলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসক ও অভিনেতা কিঞ্জল নন্দ (Kinjal Nanda)।
আরজি করের ঘটনার পর থেকেই আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিঞ্জল। তিনি রাতদখল থেকে শুরু করে সামিল হয়েছিলেন প্রত্যেক আন্দোলনে। বারে বারেই তিনি ছুটি গিয়েছেন অনশন মঞ্চে। তবে সেই সমস্ত পেরিয়েও বর্তমানে কাজে ফিরেছেন কিঞ্জল। একদিকে তিনি যেমন চিকিৎসা চালাচ্ছেন, অন্যদিকে শেষ করেছেন তাঁর নতুন ছবির শ্যুটিংও। তবে সব কিছু যে স্বাভাবিক হয়ে যায়নি, আরজি কর ঘটনার ক্ষত যে এখনও দগদগে, সেই প্রমাণ পাওয়া গেল কিঞ্জল নন্দের ফেসবুক পোস্টেই।
কি লিখেছেন কিঞ্জল? তিনি লিখেছেন, 'ভাই হিসেবে আগলে রাখতে পারিনি, বাঁচাতে পারিনি। যতদিন বিচার না পাব, ভাইফোঁটা নেবো না, রাখীও পরবো না। সেই যোগ্যতা হারিয়েছি।' স্পষ্টতই, এখানে তিনি আরজি করের নিহত চিকিৎসকের কথাই বলেছেন। কি়ঞ্জলদের আন্দোলনের স্লোগানের মধ্য একটি অন্যতম ছিল, 'আমার বোনের বিচার চাই'। নির্যাতিতাকে বোন বলে উল্লেখ করেই তাঁর বিচারের দাবিতে সরব হয়েছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকা। আর তাই, সেই বোনকে বাঁচাতে পারেননি বলেই যেন আত্মগ্লানিতে ভুগছেন কিঞ্জল। সেই কারণেই এই শপথ।
এর আগে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। কল্যাণ বলেছিলেন, 'কোনও প্রমাণ দিতে না পেরে চিৎকার করছে। থ্রেট কালচার নিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ। সিপিএমের হাতে পড়ে এরা সবাই ফিনিশ। থ্রেট কালচারের কথা মুখে বললে হবে না, প্রমাণ চাই। বলছে কাঁচিতে মরচে, আর গ্লাভসে রক্তের দাগ। কোনটা রক্ত আর কোনটা কেমিক্যাল সেটাই জানে না।'
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ। কল্যাণের কথার প্রত্যুত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, "কলেজের যে তদন্ত কমিটি হয়েছিল, সেখানে ছেলেমেয়েরা তাঁদের নিজেদের বয়ান দিয়েছে। কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবেও আমাকে বলেছে যাঁদের সঙ্গে এরকম ঘটনা ঘটেছে। যদি উনি সত্য়িই প্রমাণ চান, তাহলে একদিন আসুন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। যাঁদের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। তাহলেই বুঝতে পারবেন। আন্দোলন কারও হাতে পড়েনি। আমাদের আন্দোলন ফিনিশ হয়ে গেছে মানেটা কী! আন্দোলন যেভাবে শুরু হয়েছিল সেভাবেই আছে। ন্য়ায় বিচারের যে আন্দোলন সেটার কপিরাইট WBJDF নিয়ে রাখেনি। WBJDF নিজেদের মতো করে আন্দোলন করেছে। যতক্ষণ না ন্যায়বিচার আসবে ততক্ষণ আন্দোলন করে যাবে। যাঁরা বলছেন আন্দোলন শেষ হয়ে গেল, তাঁরাও নিজেদের মতো করে আন্দোলন করুক সেটাই চাই।''
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে