(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Remembering Dilip Kumar: দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পর প্রথম কী বলেছিলেন শায়রা বানু?
সম্প্রতি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দিলীপ কুমারের চলে যাওয়া নিয়ে ধর্মেন্দ্র বেশ কিছু আবেগপ্রবণ কথা শেয়ার করে নিয়েছেন। যা সত্যি প্রত্যেকের মনকেই ভারাক্রান্ত করে তুলবে।
মুম্বই: বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা দিলীপ কুমারের প্রয়াণের পর বেশ কয়েকদিন কেটে গিয়েছে। কিন্তু তার পরে অনেকেই এখনও পর্যন্ত বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না যে, তাঁদের প্রিয় ইউসুফ সাহেব না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন।
যাঁরা এখনও দিলীপ কুমারের প্রয়াণকে বিশ্বাস করতে পারছেন না, তাঁদের মধ্যে একজন হলেন অভিনেতার খুবই কাছের বন্ধু ধর্মেন্দ্র। সম্প্রতি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দিলীপ কুমারের চলে যাওয়া নিয়ে ধর্মেন্দ্র বেশ কিছু আবেগপ্রবণ কথা শেয়ার করেছেন। যা সত্যি প্রত্যেকের মনকেই ভারাক্রান্ত করে তুলবে।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে ধর্মেন্দ্র লেখেন, 'সায়রা নে যব কাঁহা, ধরম, দেখো সাহাব নে পলক ঝাপকি হ্যায়। দোস্তো জান নিকাল গয়ি মেরি। মালিক মেরে পেয়ারে ভাই কো জন্নত নসীব করে।' অর্থাৎ এর বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় যে, 'যখন সায়রা আমাকে বলল, ধরম, দেখো সাহেবের চোখের পলক পড়ল। বন্ধুরা, সত্যি সেই সময়ে আমার হৃদয়টা ভেঙে আরও টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছিল। ঈশ্বর যেন আমার বন্ধুকে স্বর্গে জায়গা করে দেন।'
ধর্মেন্দ্র আরও লেখেন 'দোস্তো, মুঝে দিখাবা নেহি আতা, লেকিন ম্যায় আপনে যজবাত পার কাবু ভি নেহি পাতা। আপনে সমঝ কে কেহ যাতা হুঁ।' অর্থাৎ 'বন্ধুরা, আমি শো-অফ করতে পারি না। কিন্তু এই আমি আমার আবেগ অনুভূতিকেও চেপে রাখতে পারছি না। ওদের (দিলীপ কুমার-সায়রা বানু) নিজের মনে করি, তাই নিজের মনে করেই কথাগুলো বলছি।'
বুধবার মুম্বইয়ের হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমাদের সকলের প্রিয় সাহেব দিলীপ কুমার। মৃত্যুকালে তাঁর ৯৮ বছর বয়স হয়েছিল। তাঁকে সবসময় আগলে রাখতেন স্ত্রী শায়রা বানু।
কিংবদন্তী অভিনেতার মৃত্য়ুর পর প্রথম কী বলেছিলেন শায়রা বানু, তা জানিয়েছেন হাসপাতালেরই এক চিকিৎসক জালিল পার্কার। ওই চিকিৎসক জানান যে, দিলীপ কুমারের মৃত্যুর পর শায়রা বানুর প্রথম শব্দটাই ছিল, 'ঈশ্বর আমার বেঁচে থাকার কারণটাই কেড়ে নিল। সাহেবকে ছাড়া আমি কোনও কিছু চিন্তা করা বা কোনও কিছু করতে আমি পারব না। সকলে দয়া করে প্রার্থনা করুন।'
প্রসঙ্গত, দিলীপ কুমারের মৃত্য়ুতে শোকপ্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রত্যেকেই। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং শায়রা বানুকে চিঠি দিয়ে কিংবদন্তী অভিনেতার মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন।