ক্লাসিক্যাল নাচে মগ্ন কোয়েল, ভিডিও দেখে মুগ্ধ নুসরত, রুক্মিণীরা
মিউজিকের তালে তালে উচ্চাঙ্গ নৃত্যে মগ্ন কোয়েল মল্লিক। কেবল নাচের মুদ্রা নয়, ঠিক যেন কথা বলছে তাঁর চোখের অভিব্যক্তি, ঠোঁটের হাসি
কলকাতা: আগুনরঙা পোশাকে ঝলমল করছেন তিনি। হালকা গয়নার সাজেও নজর ফেরানো যাচ্ছে না কোয়েল মল্লিকের থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলেন ভিডিও। দেখা গেল, মিউজিকের তালে তালে উচ্চাঙ্গ নৃত্যে মগ্ন কোয়েল মল্লিক। কেবল নাচের মুদ্রা নয়, ঠিক যেন কথা বলছে তাঁর চোখের অভিব্যক্তি, ঠোঁটের হাসি। ক্যাপশানে লিখলেন, 'নাচ আমাকে পুনরায় মানসিকভাবে তরতাজা করে তোলে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই ছোট্ট রিল ভিডিও শেয়ার করেন কোয়েল। তবে তার প্রত্যেকটিতেই কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। অনুরাগীদের সঙ্গে তিনি ভাগ করে নেন ছোটবেলার বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা। তবে আজকের ভিডিওতে একেবারে অন্যরুপে ধরা দিলেন কোয়েল। তাঁর ছোট্ট ভিডিও দেখে মুগ্ধ রুক্মিণী মৈত্র, নুসরত জাহানও। দুই নায়িকায় কমেন্ট সেকশানে প্রকাশ করলেন তাঁদের মুগ্ধতার কথা। রুক্মিণী লিখলেন, 'কোয়েল কী তরতাজা আর প্রাণবন্ত! অবশ্য ও সবসময়েই তাই।' অন্যদিকে কমেন্ট সেকশানে ভালোবাসার চিহ্ন এঁকে দিলেন নুসরত।
সামনেই পুজো। ছোটবেলায় পুজোর স্মৃতি নিয়ে হামেশাই বিভিন্ন ভিডিও পোস্ট করেন কোয়েল। সম্প্রতি একটি ভিডিও শেয়ার করেছিলেন কোয়েল। টলি কুইনকে সেখানে বলতে শোনা গেল, 'ছোটবেলায় আমি একজন ভগবানকে খুব মেনে চলতাম। তথাস্তু ভগবান। জানি না কোথা থেকে এই ধারণাটা মনে গেঁথে গিয়েছিল। হয়ত ছোট থেকে রামায়ণ, মহাভারত দেখে বড় হয়েছি। সেখানে দেখতাম তথাস্তু বললেই সমস্ত ইচ্ছাপূরণ হয়ে যায়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছিল, তথাস্তু বলে কোনও ভগবান রয়েছেন।'
বাকি সমস্ত বাচ্চাদের মত, পুজোর সময় ঠাকুরের কাছে কী কী চাইবেন তার তালিকা বানাতেন কোয়েল। বলছেন, 'একবার আমার এক শিক্ষিকার কাছে খুব বকুনি খেয়েছিলাম। নিজেরই দোষে। কিন্তু তারপর কিছুদিন তিনি স্কুলে আসেননি। খুব মন খারাপ হয়েছিল। সেইদিন শিক্ষা পেয়েছিলাম, রাগ করেও কখনও কোনও মানুষের খারাপ চাইতে নেই।'
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোটবেলার পূজোর স্মৃতি নিয়ে আরও একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন কোয়েল। সেখানে তিনি তুলে ধরেন ছোটবেলায় ভাই বোনেদের সঙ্গে নর্দার্ন পার্কে পুজো দেখার স্মৃতি। ভাগ করে নিয়েছিলেন ১০০টা ফুচকা খাওয়ার গল্পও।