Short Film Festival: শেষ হল 'আন্তর্জাতিক কলকাতা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল', জীবনকৃতী পুরস্কার পেলেন বরুণ চন্দ
Kolkata International Short Film Festival: এ বছর আন্তর্জাতিক কলকাতা শর্ট ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যাল তিন বছরে পা দিল। ১০-১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এই ছোট ছবির উৎসব। প্রায় ২০টি দেশ থেকে ১৫০টি ছবির আবেদন জমা পড়ে।
কলকাতা: বাংলা সিনেমার জগতের (Bengali Film Industry) অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র বরুণ চন্দ (Barun Chanda) ও ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায় (Phalguni Chatterjee)। দর্শকদের তাঁরা উপহার দিয়েছেন একাধিক ভাল ভাল কাজ। মুগ্ধ করেছেন তাঁদের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে। এবার তাঁদের বিশেষ সম্মানে সম্মানিত করা হল ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ (Kolkata International Short Film Festival) কর্তৃপক্ষের তরফে।
বরুণ চন্দ ও ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষ সম্মান
দীর্ঘ সময় ধরে অসাধারণ অভিনয় এবং লেখালেখির জন্য এই বছর ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা শর্ট ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’ কতৃপক্ষ বরুণ চন্দের হাতে জীবনকৃতী পুরস্কার (Lifetime Achievement Award) তুলে দিল। এই পুরস্কার পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই অত্যন্ত খুশি অভিনেতা। তিনি বলেন, 'আমি জানি না এই পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা আমার আছে কি না, আমি খুবই সাধারণ মানুষ। পুরস্কার পাব বলে কোনও দিন অভিনয় বা লেখালিখি করিনি। তাই এই পুরস্কার আমার কাছে খুবই অপ্রত্যাশিত।' একই মঞ্চে অভিনেতা জীবন গুহ মেমোরিয়াল পুরস্কার পেলেন আরও একজন বর্ষীয়ান অভিনেতা, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়। তিনিও এই পুরস্কার পেয়ে খুশি। তাঁর কথায়, ‘এই পুরস্কার পেয়ে ভাল লাগছে, কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা আমায় ভরিয়ে দিয়েছে।'
এ বছর আন্তর্জাতিক কলকাতা শর্ট ফিল্ম ফ্যাস্টিভ্যাল তিন বছরে পা দিল। ১০ থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এই ছোট ছবির উৎসব। প্রায় ২০টি দেশ থেকে ১৫০টি ছবির আবেদন জমা পড়েছিল। প্রায় ৮০টি ছবি অনলাইনে দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। শেষদিন রোটারি সদনে বেশ কয়েকটি ছবি দেখানো হয়। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে অর্ণব রিংগো বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'মিরর মিরর' ছবিটি দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।
এ বছর সেরা ছোট ছবির পুরস্কার পায় নরওয়ের 'জ্যাকব অ্যান্ড কুইসলিঙ্ক'। সেরা অভিনেতা দিব্যা দত্ত 'জুনি' ছবির জন্য মনোনীত হন। এই ছবিরই পরিচালকদ্বয় মহেশ ম্যাথু এবং জ্যোতি বাজাজ সেরা পরিচালকের পুরস্কার পান। ফেস্টিভ্যাল ডিরেক্টর শাশ্বতী গুহ চক্রবর্তী বলেন, ‘প্রচুর ভাল ভাল ছবি এবছর আমরা পেয়েছি। কিন্তু সবাইকে তো আর পুরস্কার দেওয়া যায় না, এটা আমাদের হাতে নেই। কিন্তু গোটা পৃথিবী থেকে যেভাবে আমরা সাড়া পেয়েছি, তাতে আমরা অভিভূত।'