Lagnajita and Nachiketa: আরজি কর কাণ্ডে পথে নামাতেই রোষের মুখে? আমন্ত্রণ পাওয়ার পরেও 'বাতিল' লগ্নজিতা, বদলে মঞ্চে নচিকেতা
Kolkata News: আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে, চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল সমাজের সব স্তরের মানুষ। সামিল হয়েছিলেন বহু শিল্পীও।
vঅর্ণব মুখোপাধ্যায়, সত্যজিৎ বৈদ্য, ঐশী মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: আর জি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে পথে নামা শিল্পীদের বয়কটের ডাক দিয়ে পোস্ট করলেন কুণাল ঘোষ। আর তারপরই মন্ত্রী থেকে তৃণমূল কাউন্সিলরের আয়োজিত অনুষ্ঠানে ডাক পেয়েও পরে বদলে গেল শিল্পীর মুখ। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও এ অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের কাউন্সিলর থেকে মন্ত্রী।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে, চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের মতো নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিল সমাজের সব স্তরের মানুষ। সামিল হয়েছিলেন বহু শিল্পীও। সবসময় আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে থেকেছেন। শুধুমাত্র বিচারের দাবিতে, কোনও স্বার্থ না দেখেই প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছেন...এবার সেই প্রতিবাদী শিল্পীদেরকেই বয়কটের ডাক দিল তৃণমূল। বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে মধ্য কলকাতার - কুল কোয়েস্ট কানির্ভালকে ঘিরে। কার্নিভালের প্রধান উদ্যোক্তা, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুপর্ণা দত্ত। সোমবার সেখানেই শিল্পী লগ্নজিতা চক্রবর্তীর গানের অনুষ্ঠান ছিল। কার্নিভালের হোর্ডিং থেকে শুরু করে তৃণমূল কাউন্সিলরের ফেসবুক পেজ, সর্বত্র সেই প্রচারও করা হয়...কিন্তু, আচমকা বদলে যায় সেই অনুষ্ঠানসূচি। ঘোষণা করা হয়, লগ্নজিতার পরিবর্তে এদিন গান গাইবেন নচিকেতা। সেটাও ফেসবুকে পোস্ট করেন তৃণমূল কাউন্সিলর সুপর্ণা দত্ত।
আর জি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে সামিল হতে বারবার দেখা গেছে লগ্নজিতাকে। এরপর যখন তৃণমূল কাউন্সিলর আয়োজিত অনুষ্ঠানে সেই শিল্পীকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, তখন দলের তরফ থেকেই তার তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। ফেসবুকে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, 'যে শিল্পী 'চটিচাটা' বলে সরকারপন্থীদের আক্রমণ করতেন, এখন শীতের জলসার পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সঙ্গে তাঁর ছবি। আমার বক্তব্য, এটা গণতান্ত্রিক রাজ্য। যে কেউ পারফর্ম করতে পারেন। কোনও বাধা নেই। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে কেন এঁদের ডাকা হবে?'
নাম না করে দলের একাংশকে আক্রমণ করে কুণাল ঘোষ আরও লিখেছেন, 'আসলে যাঁরা আগস্টের পর থেকে লড়াইটাতে ছিলেন না, সেই ভয়ংকর আক্রমণের মুখে পড়েননি, জল মাপছিলেন, তাঁরা বোধহয় এই যন্ত্রণাটা বুঝতে পারছেন না। তিনমাস আগে 'চটিচাটা', সরকার ফেলে দেব, বাংলাদেশের মত পালাবে বলা শিল্পীদের আর যাই হোক, এখন তৃণমূল নেতাদের বিনোদনের মঞ্চে ডাকা যেতে পারে না। ওঁরা ডাকলেই আসবেন। কিন্তু ওই কজনকে তৃণমূল কর্মীরা বয়কট করুন। এবার পাড়ার জলসায় ওই কজনের কোনও জায়গা থাকা উচিত না। তৃণমূলপন্থীদের অনুষ্ঠানে তো নয়ই।'
একইভাবে সোশাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য। তৃণমূলের মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় পাল তো, একেবারে দলীয় কাউন্সিলর সুপর্ণা দত্তর নাম নিয়ে ফেসবুকে সতর্ক করে দিয়েছেন। যদিও বিতর্কের মুখে, যাবতীয় দায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার উপরেই চাপিয়েছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। কিন্তু একজন শিল্পীর কি প্রতিবাদ করার অধিকার নেই? একটা নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে করায় একজন শিল্পীকে বয়কটের ডাক দেওয়া হবে? যদিও তৃণমূল কাউন্সিলর পরিচালিত অনুষ্ঠান থেকে তাঁর নাম বাদ যাওয়া নিয়ে, কোনও মন্তব্য করতে চাননি লগ্নজিতা চক্রবর্তী।