Lata Mangeshkar Passes Away: লতা মঙ্গেশকরের পরিচয় কীভাবে হয়ে উঠল 'মেরি আওয়াজ হি পহেচান হ্যায়' গানটি? স্মৃতিচারণা গুলজারের
প্রায় একমাস করোনাভাইরাস এবং নিউমোনিয়ার সঙ্গে লড়াই চলছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। বিরানব্বই বছর বয়সে পরিবারের সদস্য এবং দেশ বিদেশের অগণিত সদস্যদের মন ভারাক্রান্ত করে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর।
মুম্বই: 'কিনারা' ছবির 'নাম গুম জায়েগা, চেহরা ইয়ে বদল জায়েগা, মেরি আওয়াজ হি পহেচান হ্যায়' গানটি প্রচণ্ড জনপ্রিয় আজও। এই গানটিও গুলজারেরই লেখা শুধু নয়, এই ছবির পরিচালকও ছিলেন তিনিই। আজ কিংবদন্তি গায়িকার প্রয়াণের দিনে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে গুলজার (Gulzar) বলেছেন, 'মনে আছে, এই গানটি লেখার পর লতা জি-কে (Lata Mangeshkar) বলেছিলাম, আপনি অটোগ্রাফ দেওয়ার সময়ও এই গানের লাইনটি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, নাম, মুখ সব বদলে গেলেও, আপনার ওই কণ্ঠস্বরই আপনার পরিচয়। সত্যিই তখন ভাবিনি এই গানটি লতা মঙ্গেশকরের পরিচয় হয়ে যাবে। আজ দেখছি সত্যিই তা হয়ে গিয়েছে।'
পরিচালক বিশাল ভরদ্বাজের 'মাচিস' ছবিতে ১৯৯৬ সালে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন লতা মঙ্গেশকর ও গুলজার। সেই ছবিতে 'পানি পানি রে' গানটি খুবই জনপ্রিয় হয়। বিশাল ভরদ্বাজ যখন লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে এই গানটি কীভাবে ছবিতে ব্যবহার হবে, তা নিয়ে বোঝাচ্ছিলেন, তখন খুব স্নায়ুচাপে ভুগছিলেন। সেই সময়ের কথা মনে করে গুলজার বলেন, 'তখন লতা মঙ্গেশকরই বিশালকে বলেন, তুমি ভাবো আমি একেবারে নতুন। আমার সঙ্গে সেভাবেই ব্যবহার করো।'
প্রায় একমাস করোনাভাইরাস এবং নিউমোনিয়ার সঙ্গে লড়াই চলছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা আর হল না। বিরানব্বই বছর বয়সে পরিবারের সদস্য এবং দেশ বিদেশের অগণিত সদস্যদের মন ভারাক্রান্ত করে ইহজগতের মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর।
আরও পড়ুন - Lata Mangeshkar Passes Away: 'অসাড় লাগছে', লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে শোকাহত শ্রেয়া ঘোষাল
হিন্দি ছবির গানে তো অনেকগুলো ভাগ হয়। সেই হিসেবে একজন ভালো গীতিকার একজন ভালো সুরকার আর একজন দক্ষ গায়ক মিলেই সৃষ্টি করেন এমন গান, যা চিরকাল মানুষের কানে বাজে। গীতিকার গুলজার আর লতা মঙ্গেশকর। দুজনের এমন এক জুটি, যাঁরা দশকের পর দশক মানুষকে সুরমগ্ন করে রেখেছেন। সেই গুলজার আজ এতটাই ভেঙে পড়ছেন লতা মঙ্গেশকরের প্রয়াণে যে, ভাষায় প্রকাশ করতে তাঁর মতো কবিরও আজ যেন শব্দ ভাণ্ডার ফুরিয়ে এসেছে। কাতর কণ্ঠে গুলজার এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'লতা জি একটি ক্যারিশমার নাম। লতা জি একটি মিরাক্যালের নাম। যা রোজ ঘটে না। আর এই মিরাক্যাল আজ সমাপ্ত হল। লতা জি সত্যিই সবাইকে ছেড়ে চলে গেলেন। ওরকম জাদুকণ্ঠে সুরেলা মূর্ছনায় যেভাবে মানুষকে মাতিয়ে রাখতেন, তা থেকে অনেক দূরে চলে গেলেন। ওঁর মতো মানুষের জন্য কোনও বিশেষণই যথেষ্ট নয়। ওঁর সম্পর্কে যত বেশিই বলা হোক না কেন কমই বলা হবে। আর যাই হোক লতা মঙ্গেশকরকে কয়েকটা শব্দে বর্ণনা করা যায় না। তিনি বর্ণনার উর্ধ্বে।'
প্রসঙ্গত, লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে গুলজারের জুটি শুরুই হয়েছিল ১৯৬৩ সালের 'বন্দিনী' ছবির মাধ্যমে। যা চলেছে অর্ধ শতাব্দী জুড়ে। দুজনে মিলে 'খামোশি', 'কিনারা', 'লেকিন', 'মাসুম', 'রুদালি', 'লিবাস', 'দিল সে', 'সত্যা', 'হু তু তু', 'মাচিস' এবং আরও অনেক অনেক জনপ্রিয় ছবির গান উপহার দিয়েছেন দর্শককে।