Mayar Janjal Exclusive: 'বাইরে ভিড়, চিৎকার.. শিঙি মাছের দিকে তাকিয়ে অভিনয় করে গেলেন ব্রাত্য'
Bratya Basu: ছবির নাম যে দুটি শব্দ দিয়ে তৈরি, তা কার্যত বিপরীতধর্মী। কেমন করে এই দুই শব্দ ফুটে উঠবে পর্দায়? ছবির পরিচালক বলছেন, 'এই ছবির গল্প মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি আলাদা ছোটগল্প থেকে অনুপ্রাণিত
কলকাতা: দুই বাংলার শিল্পীদের নিয়ে মায়ায় বাঁধা গল্প। গল্পের নাম, 'মায়ার জঞ্জাল'। ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী পরিচালিত এই ছবি মুক্তি পাবে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি। ছবির মুখ্যভূমিকায় রয়েছেন ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহেল মণ্ডল, পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ব্রাত্য বসু, চান্দ্রেয়ী ঘোষ ও অপি করিমকে।
ছবির নাম যে দুটি শব্দ দিয়ে তৈরি, তা কার্যত বিপরীতধর্মী। কেমন করে এই দুই শব্দ ফুটে উঠবে পর্দায়? ছবির পরিচালক বলছেন, 'এই ছবির গল্প মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি আলাদা ছোটগল্প থেকে অনুপ্রাণিত। দুটি গল্পের মধ্যে যোগাযোগ না থাকলেও দুটি গল্পই একই সময়ের প্রেক্ষাপটে লেখা। আমরা গল্পের ধারাও চরিত্রদের বদলে দিয়েছি। কেবল এক রয়েছে চরিত্রদের মধ্যে মানসিক টানাপোড়নটা। এই ছবিতে এক ভালবাসার গল্প রয়েছে, যা হয়তো খুব সহজ, স্বাভাবিক হতে পারত। কিন্তু পরিস্থিতির চাপে তা জটিল হয়ে যায়। তবে এই সিনেমার অনেকগুলো আঙ্গিক রয়েছে, তা দর্শকেরা আবিষ্কার করবেন।'
দুই বাংলার অভিনেতা অভিনেত্রীরা কাজ করেছেন এই ছবিতে। পরিচালক বলছেন, 'দুটি দেশের সংস্কৃতি আলাদা, তবে পর্দায় যখন দুই দেশের দুজন মানুষ মুখোমুখি অভিনয় করছেন, তাঁদের মধ্যে কোনও অমিল নেই। কী অদ্ভুত মেলবন্ধন। আবার শ্যুটিংয়ে খুব অদ্ভুত পরিস্থিতিরও সম্মুখীন হয়েছি। মুস্তাফিজুর সাহেবের এই ছবিেত একটি গাড়ি চালানোর দৃশ্য ছিল। উনি জানিয়েছিলেন, উনি রোজ গাড়ি চালিয়ে অফিস যান। ফলে শট দিতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু শ্যুটিং শুরু হতে দেখা গেল, উনি গাড়ি চালাতে পারছেন না। তারপরে উনি এসে বললেন, বাংলাদেশের সব গাড়ি অটো গিয়ারের। আর তাই, ম্যানুয়াল গিয়ারের গাড়ি চালাতে গিয়েই হিমসিম অভিনেতা।'
আরও পড়ুন: Arijit Singh: মায়ের চিকিৎসায় সাহায্য করেছিল কলকাতা, শহরবাসীকে করজোড়ে ধন্যবাদ জানালেন অরিজিৎ
আরও একটি ঘটনা মনে পড়ে পরিচালকের। তিনি বলছেন, 'আমাদের একটা দৃশ্য শ্যুট হয়েছিল মাছের ভেড়িতে। সাধারণত এমন জায়গায় শ্যুট হয় না, ফলে ভিড় জমেছিল প্রচুর। শটটা ছিল ব্রাত্যর। বাইরে প্রবল চেঁচামেচি, ভিড়। সব উপেক্ষা করে শিঙিমাছের দিতে তাকিয়ে সংলাপ বলে চলেছে ব্রাত্য। সেখানে স্মৃতিচারণা, মায়ের কথা... সেই সংলাপ খুব শান্ত পরিবেশে বলার। কোনও চেঁচামেচি প্রভাব ফেলল না ওঁর অভিনয়ের ওপর। সেটাও একটা অদ্ভুত অভিজ্ঞতা।'