Nusrat Jahan: কালীপুজোর ভোগ রান্নায় হাত লাগালেন নুসরত, আপ্লুত বসিরহাটবাসী
Nusrat Jahan: শনিবার বসিরহাট উত্তরের খোলাপোতা কালী মন্দিরের পুজোয় নিমন্ত্রিত ছিলেন নুসরত। পুজো উদ্বোধনের জন্যই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁকে। পরিপাটি শাড়ি সাজে সেখানে পৌঁছেও যান নুসরত
কলকাতা: কোমরে শাড়ির আঁচল গোঁজা, টান করে বাঁধা চুল, দায়িত্ব নিয়ে কালীপুজোর ভোগ রান্নায় ব্যস্ত তিনি। কে? উত্তরটা স্পষ্ট ভাইরাল ভিডিওতেই। তৃণমূলের তারকা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। কয়েক সপ্তাহ আগেই যাঁর নামে 'নিখোঁজ' পোস্টার পড়েছিল বসিরহাট জুড়ে, তিনি এখন স্বমহিমায় হাজির নিজের অঞ্চলে।
সূত্রের খবর, শনিবার বসিরহাট উত্তরের খোলাপোতা কালী মন্দিরের পুজোয় নিমন্ত্রিত ছিলেন নুসরত। পুজো উদ্বোধনের জন্যই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল তাঁকে। পরিপাটি শাড়ি সাজে সেখানে পৌঁছেও যান নুসরত। তবে কেবল উদ্বোধন নয়, হাত লাগান ভোগ রান্নাতেও। বিশাল কড়াইয়ে খুন্তি নাড়তে নাড়তে নুসরতের প্রশ্ন, পেরেছি? সঙ্গে সঙ্গে রান্নায় যোগ করা হয় মশলাও। ঘিরে থাকা তৃণমূল কর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, নুসরতের ব্যবহারে আপ্লুত সবাই।
শোনা যায়, বসিরহাটের এই শ্মশান কালীর মন্দির নির্মাণে অনেক মুসলিম বাসিন্দার অবদান রয়েছে। সম্প্রীতির নজির আগেই গড়েছিলেন খোলাপাতা গ্রামের বাসিন্দারা। এ দিন শ্মশান কালী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে সেই ধারাকেই যেন এগিয়ে নিয়ে গেলেন নুসরত জাহান।
নিজে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ছবি শেয়ার না করলেও তাঁর ফ্যানপেজ থেকে শেয়ার করে নেওয়া হয়েছে নুসরতের ভোগ রান্নার একটি ভিডিও। সেখানে হাসি মুখে নুসরতকে ভোগ রান্নায় অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। শেষে তিনি আবার দায়িত্ব ছেড়েছেন রাঁধুনির হাতেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ্যে আসতেই ভাইরাল হয় এই ভিডিও।
">
কিছুদিন আগেই অবশ্য একেবারে অন্যরকম ছিল ছবিটা। বসিরহাটে নিখোঁজ পোস্টার পড়েছিল তৃণমূল সাংসদের নামে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সেই পোস্টারে লেখা ছিল, প্রচারে তৃণমূলের কর্মীবৃন্দ। এই নিখোঁজ পোস্টার ঘিরেও শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক তরজা। উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া বিধানসভা এলাকার চাঁপাতলায় তৃণমূল সাংসদ ও টলিউড অভিনেত্রী নুসরত জাহানের নামে এই পোস্টার পড়েছিল। স্থানীয় সূত্রে খবর, রাতের অন্ধকারেই এই পোস্টার লাগান হয়েছিল। স্থানীয় তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানে সেইসময় বলেছিলেন, সাংসদ নুসরত জাহানকে এলাকায় দেখতে না পেয়েই দলের কর্মীদের একাংশ ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকতে পারে। তাঁদেরই কেউ এই পোস্টার দিয়ে থাকতে পারেন। এই প্রসঙ্গে চাঁপাতলার তৃণমূল নেতা ও গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হুমায়ূন রেজা চৌধুরী বলেন, 'শুনতে পেয়েছি সেখানে লেখা রয়েছে তৃণমূল কর্মীবৃন্দ। সেই পোস্টারগুলো আমি ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছি।'
তবে এদিন এলাকার মানুষদের অভিমান মিটিয়ে হাজির হলেন নুসরত। মন জয় করলেন, হাত লাগালেন কালীপুজোর ভোগ রান্নাতেও।