হলুদ ট্যাক্সি, ভাঁড়ের চা, কলকাতার রাস্তায় সময় কাটাচ্ছেন গুরমিত-দেবিনা!
হলুদ ট্যাক্সি থেকে রাস্তায় ধারে ভাঁড়ের চা, কলকাতার সংস্কৃতিতে মজেছেন কলকাতার জামাই। সদ্য স্ত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতায় পা রেখেছেন গুরমিত চৌধুরী।
কলকাতা: হলুদ ট্যাক্সি থেকে রাস্তায় ধারে ভাঁড়ের চা, কলকাতার সংস্কৃতিতে মজেছেন কলকাতার জামাই। সদ্য স্ত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতায় পা রেখেছেন গুরমিত চৌধুরী। আর বাংলায় পা দিয়েই সেখানকার রাস্তায় ঘুরে বেড়ালেন তারকা দম্পতি। পোস্ট করলেন একগুচ্ছ ছবি।
কলকাতার মেয়ে দেবিনার প্রেমে পড়েছিলেন গুরমিত। সেইসময় দেবিনা অভিনয় করছেন, সঙ্গে মডেলিংও। গুরমিত নিজেও অভিনয় করছিলেন সেইসময়। বাকিটা কেবলই রোম্যান্সে মোড়া প্রেমের গল্প। ভালোবাসার টানেই দেবিনা আপাতত মুম্বইবাসী। কিন্তু পুজোর আগে প্রিয় মানুষকে শহরে পা রেখেছেন এই বাঙালি কন্যা। আর তাই প্রিয় মানুষকে কলকাতার রাস্তার আসল অনুভূতি দিতে কখনও নিয়ে গেলেন রাস্তার ধারের চায়ের দোকানে। সেখানে নিজে হাতেই চা ঢেলে নিলেন গুরমিত। আবার কখনও দুজনে পোজ দিলেন কলকাতার হলুদ ট্যাক্সির সামনে।
লাগাতার লকডাউনের জেরে ক্ষতির মুখ দেখেছে বড় থেকে ছোট সমস্ত শিল্প। কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ। এবার মুম্বইয়ের ছোট আঞ্চলিক শিল্পীদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী দেবিনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন দেবিনা। সেখানে তিনি বলেছিলেন, 'রেড কার্পেট লুক থেকে বিমানবন্দরের সাধারণ পোশাক, স্টাইল সবটাই তৈরি করেন শিল্পীরা। ফ্যাশান ইন্ড্রাস্টিই সবসময় তারকাদের সাজিয়ে তোলে। এবার আমাদের সময় ছোট ছোট অঞ্চলিক শিল্পীদের কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার। আমাদের কর্তব্য তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার।'
দেবিনা জানিয়েছিলেন, মুম্বই ও আশেপাশের অঞ্চলের শিল্পীরা যদি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন ও তাঁর কাছে তৈরি ফ্যাশান প্রোডাক্ট পাঠিয়ে দেন তবে সেগুলি নিয়ে ফটোশ্যুট করবেন দেবিনা। পোশাক হোক বা গয়না ও অন্যান্য সামগ্রী, সেগুলো পরে ফটোশ্যুট করে সেই ছবি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করবেন দেবিনা। সঙ্গে থাকবে সেই পোশাক বা গয়না বিক্রেতার নাম ও সমস্ত তথ্য।
দেবিনা আরও জানিয়েছিলেন, এই কাজটি তিনি করবেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। ফটোশ্যুট থেকে শুরু করে বিজ্ঞাপন, কোনও কিছুর জন্যই বিক্রেতার কাছ থেকে টাকা নেবেন না তিনি। বরং যদি একটু বিক্রি বাড়ে তাহলেই খুশি দেবিনা।