Tollywood Update: 'কাজের বিনিময়ে চাওয়া হত টাকা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানিয়েও লাভ হয়নি', বিস্ফোরক টলিউডের প্রাক্তন কলাকুশলী
Sanjay Das on Tollywood: এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন সিনে ইলেকট্রিকাল গিল্ডের প্রাক্তন সদস্য সঞ্জয় দাস। হেয়ার ড্রেসারের আত্মহত্যার অভিযোগ সামনে আসার পরে মুখ খুলেছেন তিনি
কলকাতা: থ্রেট কালচার। আর জি কর-কাণ্ডের পর, বারবার চর্চায় এসেছে এই শব্দবন্ধ। কিন্তু এই 'থ্রেট কালচার' বা 'হুমকি সংস্কৃতি' কি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের গণ্ডির বাইরে ছড়িয়ে রয়েছে অন্যত্রও? স্বাস্থ্য পরিষেবার পর এবার টালিগঞ্জের স্টুডিও পাড়াতেও কি থাবা বসিয়েছে হুমকি-সংস্কৃতি? এক হেয়ার ড্রেসারের আত্মহত্যার চেষ্টায় জোরাল হয়ে উঠেছে এই প্রশ্নগুলো। বারে বারে এই প্রশ্ন উঠে আসছে যে থ্রেট কালচার কী এই প্রথম নাকি এর আগেও এর শিকার হয়েছেন একাধিক কলাকুশলীরা?
এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন সিনে ইলেকট্রিকাল গিল্ডের প্রাক্তন সদস্য সঞ্জয় দাস। হেয়ার ড্রেসারের আত্মহত্যার অভিযোগ সামনে আসার পরে মুখ খুলেছেন তিনি। বলেছেন, কাজের বিনিময়ে তাঁর কাছে টাকা চাওয়া হত। চাহিদা মতো টাকা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২০১৬ সালে। তাঁর অভিযোগ, গোটা ঘটনার নেপথ্যে ছিল ফেডারেশন অফ সিনে টেকনিসিয়ান্স অ্যান্ড ওয়ার্কার্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়ার ভূমিকা। আর এই ফেডারেশনের মাথাতেই রয়েছেন স্বরূপ বিশ্বাস। সঞ্জয় দাসের কথায়, 'কাজের জায়গা থেকে আমায় বঞ্চিত করা হয়েছে। কাজ করতে দেওয়া হয়নি। স্বরূপ বিশ্বাস-অরূপ বিশ্বাসের নাম নিয়ে বলতে পারি। অরূপ বিশ্বাসকে চার বার চিঠি দিয়েছিলাম। সেই চিঠির কপি নবান্নতেও দিয়েছিলাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। কিন্তু আমি কোনও সহযোগীতার হাত পাইনি। আমি আস্তে করে ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে গিয়েছি।'
টলিউডের কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনা নিয়ে ঋত্বিক বলছেন, 'এটা তো থ্রেট কালচারই। এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এবং বেআইনিও। সংগঠন ও ট্রেড ইউনিয়নের তো ওয়েলফেয়ার করা কাজ। ধীরে ধীরে এটার হয়তো রাজনীতিকরণ ঘটেছে আর সেখান থেকেই জোরটা আসছে। সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি হয়ে উঠছে।' এর আগে যখন রাহুল মুখোপাধ্যায় বনাম ফেডারেশন দ্বৈরথ শুরু হয়েছিল টলিউডে, তখন একাধিক দিন বন্ধ ছিল শ্যুটিং। সেই সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে জট কাটে। সেই সময়ে সাংবাদিক সম্মেলনে দেব জানিয়েছিলেন, 'টলিউডে আর কাউকে ব্যান করা যাবে না। এটা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর আদেশ' তবে কেশসজ্জা শিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনার পিছনে উঠে আসছে সেই ব্যান করার ঘটনাই। এই বিষয় নিয়ে দেব আজ বলেছেন, 'ব্যান কালচারটা বন্ধ হোক। আমার মনে হয় অনেক বুদ্ধিদীপ্ত মাথারা রয়েছেন, যাঁরা এই ফেডারেশন বা ডিপার্টমেন্টের মাথায় বসে রয়েছেন। অনুরোধ করব কারও যাতে রোজগার বন্ধ না হয়। কাজের পরিবেশের কারণে কোনও মানুষ যদি আত্মহত্যা করতে যায়, সেটা ফেডারেশনের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।'
আরও পড়ুন: Ritwick and Dev: 'রাজনীতিকরণ ঘটেছে, তাই এত জোর', টলিউডকাণ্ডে ফেডারেশনকে তোপ ঋত্বিক-দেবের
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।