Sanjay Dutt: শ্যুটিং সেটে বিস্ফোরণ! গুরুতর আহত সঞ্জয় দত্ত
Sanjay Dutt: 'কেডি'-র সেটে একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলেন সঞ্জয় দত্ত।
কলকাতা: কন্নড় ছবি, 'কেডি'-র সেটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলেন অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বুধবার বেঙ্গালুরুতে সিনেমার সেটে বোমা বিস্ফোরণের দৃশ্যের শুটিং করার সময় আহত হন তিনি। বোমা বিস্ফোরণের দৃশ্য় শ্য়ুট করার সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে অভিনেতা হাত-কনুই ও মুখের কিছু অংশ আহত হয়। এই দুর্ঘটনার জন্য় বেশ কিছুক্ষণ বন্ধ থাকে শুটিং।
প্রসঙ্গত, 'হেরা ফেরি' ফ্র্য়াঞ্চাইজির ছবি 'ফির হেরা ফিরে ৩'-এর শ্য়ুটি শুরু হতে চলেছে চলতি বছরই। বলিউডের খবর অনুযায়ী, অক্ষয় কুমার, সুনীল শেঠি এবং পরেশ রাওয়ালের পাশাপাশি এই ছবিতে অভিনয় করছেন সঞ্জয় দত্ত। সম্প্রতি অভিনেতা জানিয়েছেন, এই কমেডি ঘরানার ছবিতে অন্ধ ডনের চরিত্রে দেখা মিলবে তাঁর।
পরিচালক ফরহাদ সামজির এই ছবিতে দেখা মিলবে কার্তিক আরিয়ানেরও। সূত্রের খবর অনুযায়ী লস অ্যাঞ্জেলেস,আবুধাবি ও দুবাইতে বিভিন্ন লোকেশনে শ্যুট হবে এই ছবির।
তীব্র গরমের মধ্য়েই হঠাৎই মুম্বইয়ের মেট্রোতে দেখা মিলল ড্রিম গার্লের! তারপর?
সঞ্জয় দত্ত জানিয়েছেন, "এটি একটি দুর্দান্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি, আর আমি এই ছবির অংশ হতে পেরে অত্য়ন্ত খুশি। প্রযোজক ফিরোজ নাদিয়াদওয়ালার সাথে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অন্য়দিকে, অক্ষয় কুমার,সুনীল শেট্টি ও পরেশ রাওয়ালের সঙ্গে কাজ করতে পেরে ভীষণ ভাল লাগছে।'
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত জানালেন যে, তিনি সেসময়ে 'শামশেরা' ছবির শ্যুটিং করছিলেন। সেই সময়েই তাঁর ক্যানসার ধরা পড়ে। অভিনেতা বলছেন, 'আমার পিঠে আচমকা ব্যথা শুরু হয়। পিঠে ব্যথার জন্য গরম জলের বোতল দিয়ে সেঁক দিই। আর পেন কিলার খেয়েছিলাম। কিন্তু তার একদিন পরই আমি যেন শ্বাস নিতে পারছিলাম না। আমাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকেরা আমার পরিবারকে জানান যে, আমার ক্যানসার হয়েছে। কিন্তু আমার বাড়ির কেউ সে কথা আমায় বলেনি। আমার স্ত্রী, বোন, পরিবারের কেউ আমায় ক্যানসারের কথা জানায়নি। একদিন একলা বসে রয়েছি, একজন এসে আমায় বলে যে, 'তোমার তো ক্যানসার হয়েছে।' ক্যানসারের কথা জানার পর আমি ঠিক করেছিলাম, চিকিৎসা করাবো না। বিনা চিকিৎসায় মারা যাব তবু কেমোথেরাপি করাবো না। সেই সময় আমার স্ত্রী দুবাইতে ছিল। তাই প্রিয়া (বোন প্রিয়া দত্ত) আসে আমার কাছে। ও আমায় বলে ক্যানসারের কথা। শোনার পরই আমার প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল যে, আমার মনের মধ্যে পুরনো অনেক স্মৃতি ভেসে উঠেছিল। আমার পরিবারের সঙ্গে ক্যানসারের সমস্ত ঘটনা যেন দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার মা মারা গিয়েছিলেন প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসারে। আমার স্ত্রী (রিচা শর্মা) মারা গিয়েছিলেন ব্রেন ক্যানসারে। তাই আমি প্রথমেই বলে দিয়েছিলাম যে, আমি কেমোথেরাপি করাতে চাই না। বদলে আমি মরতেও রাজি। আমি মারা যাব তবু ভালো কিন্তু কোনওরকম চিকিৎসা করাতে চাই না।'