যীশুকে ভাইফোঁটা দিচ্ছেন কৌশিকী! হাসিতে ফেটে পড়লেন কুমার শানু, মোনালিরা
হঠাৎই প্রতিযোগীদের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিলেন কৌশিকী চক্রবর্তী। তারপরেই সাজানো থালা নিয়ে তিনি এগিয়ে গেলেন সঞ্চালক যীশু সেনগুপ্তের কাছে। তাঁর কপালে পরিয়ে দিলেন ভাইফোঁটা।
কলকাতা: হঠাৎই প্রতিযোগীদের বিভিন্ন জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিলেন কৌশিকী চক্রবর্তী। সবাই তাঁর আদেশ পালনও করলেন। তারপরেই সাজানো থালা নিয়ে তিনি এগিয়ে গেলেন সঞ্চালক যীশু সেনগুপ্তের কাছে। তাঁর কপালে পরিয়ে দিলেন ভাইফোঁটা। আর সঞ্চালকের কখন প্রায় কেঁদে ফেলার অবস্থা! ভাইফোঁটার বিশেষ পর্বের শ্যুটিং শেষ হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। প্রকাশ্যে এল সেই এপিসোডের ছোট্ট মজার ক্লিপিংস।
'সুুপার সিঙ্গার'-এর মঞ্চে হামেশাই খুনসুটিতে মাতেন যীশু ও বিচারক কুমার শানু, কৌশিকী চক্রবর্তী ও কুমার শানু। ভাইফোঁটার শ্যুটিংয়েই যীশুর কপালে ফোঁটা দেন কৌশিকী। ফোঁটা নিতে একেবারেই রাজি ছিলেন না যীশু। তাই তিনি যাতে পালাতে না পারেন, প্রতিযোগীদের গোল করে দাঁড়ানের নির্দেশ দিয়েছিলেন কৌশিকী। এরপর যীশুর কপালে ফোঁটা দিয়ে, কবিতা বলে তাঁকে বরণও করেন কৌশিকী। বিচারকের আসনে বসে হাসিতে ফেটে পড়লেন কুমার শানু, সোনু নিগম মোনালী ঠাকুর।
'সুপার সিঙ্গার'-এর মঞ্চ রোজই যেন নতুন গল্প বলে। সম্প্রতি সঙ্গীতের লড়াইয়ের মঞ্চে অতিথি হয়ে এসেছিলেন মোনালি ঠাকুর। বিচারকের আসনে বসে ছোটবেলার গল্পে মজলেন দুই সঙ্গীতশিল্পী। মোনালি বললেন, 'আমি পুতুলদির কাছেই গান শিখেছি।' কৌশিকী চক্রবর্তীর ডাকনাম পুতুল নিয়ে মঞ্চে রসিকতাও করেন যীশু সেনগুপ্ত। এরপর কৌশিকি জানান, ছোটবেলায় সত্যিই তাঁর কাছে গান শিখতেন মোনালি ঠাকুর। আর ছোটবেলায় তাঁর নখ খাওয়ার অভ্যাস ছিল বলে তাঁকে নেলপলিশ পরিয়ে দিতেন কৌশিকী। যাতে তাঁর নখ খাওয়া বন্ধ হয়। সেইসঙ্গে কৌশিকী যোগ করেন, মোনালিকে ছোট থেকে বড় হতে দেখেছেন তিনি। আর মোনালীকে আজ এই জায়গায় দেখে তিনি গর্বিত। অন্যদিকে আজ মোনালীর ঠাকুরের জন্মদিন। অনুষ্ঠানের এই ছোট্ট ক্লিপিংস পছন্দ হল অনুরাগীদেরও।
এই প্রথম নয়, সঙ্গীতে মঞ্চে আগেও উঠে এসেছে অজানা সব গল্প। বাপ্পি লাহিড়ীর বিশেষ এপিসোডে এসে কুমার শানু শুনিয়েছিলেন নিজের অভিজ্ঞতার কথা। সঙ্গীতশিল্পী বলছেন, 'বাপ্পি লাহিড়ীর সঙ্গে গান রেকর্ডিং। যথাসময়ে স্টুডিওতে হাজির হয়েছি আমি। ১০ মিনিটের মধ্যেই বাপ্পিদা চলে এলেন। এসেই কলাকুশলীদের প্রশন করলেন, ট্র্যাক তৈরি আছে? তাঁরা উত্তর দিল, কেবল মুখরাটুকুই তাঁদের দিয়েছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। তাই সেটুকুর ট্রাক তৈরি হয়েছে। আমি তো শুনে অবাক। গান গাইতে এসেছি অথচ গানই তৈরি নেই! আমি বললাম, বাপ্পিদা, গান তৈরি হলে আমি আসব না হয়। সেটা ওনাকে বলাতে বাপ্পিদা বললেন, 'না শানু, তুই গেলে তোকে আর পাওয়া যাবে না। আমায় ১০ মিনিট দে। ওখানে বসে সত্যিই ১০ মিনিটে উনি অন্তরা বানিয়ে ফেললেন। তারপর একটা কর্ডের ওপর গেয়ে গানটা রেকর্ড করে দিলেন। তারপর আমায় গান শেখাতে শুরু করলেন। এইভাবেই কাজ করতেন বাপ্পি লাহিড়ী।'