বলিউডের মহিলা সুপারস্টার প্রয়াত শ্রীদেবীর সিনে সফর

গত বছর মম সিনেমা মুক্তি পায়। এতে তিনি মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। দর্শকরা তাঁর অভিনয়ের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

দীর্ঘদিন বাদে ফিরেও এসেও তাঁর অসাধারণ অভিনয় সিনে-প্রেমিক ও সমালোচকদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছিল।

বিয়ের পর সিনে দুনিয়া থেকে শ্রীদেবী দূরে সরে যান শ্রীদেবী। এরপর ২০১২-তে ইংলিশ ভিংলিশ সিনেমার মাধ্যমে রূপোলি পর্দায় কামব্যাক করেন তিনি।

তাঁর দুই কন্যাসন্তান-জাহ্নবী ও খুশি কাপূর। বড় মেয়ে জাহ্নবি বর্তমানে সিনেমায় নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

১৯৯৬-এ চলচ্চিত্র নির্মাতা বনি কাপূরকে বিয়ে করে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন শ্রীদেবী।

তেলগু, মালয়ালাম, কন্নড় সিনেমায় কাজ করার পর ১৯৭৮-এ প্রথমবার লিড হিরোইন হিসেবে নিজের প্রতিভার ঝলক দেখিয়ে দর্শকদের হৃদয় জিতে নিয়েছেন শ্রীদেবী।

একেবারে ছোট বেলা থেকে সিনে দুনিয়ায় সফর শুরু তাঁর। মাত্র ১২ বছর বয়সে বলিউডে শিশুশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল তাঁর।

বলিউডে মহিলা সুপারস্টার হিসেবে পরিচিত তিনি। ফিল্ম কেরিয়ারের মধ্যগগনে অগনিত দর্শকের স্বপ্নের নায়িকা হয়ে উঠেছিলেন তিনি। সৌন্দর্য ও অভিনয় দক্ষতার মিশেলে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নিজস্ব পরিচয় গড়ে তুলেছিলেন শ্রীদেবী। হিরো নির্ভর হিন্দি সিনেমার সংজ্ঞাটাই পাল্টে দিয়েছিলেন শ্রীদেবী। ‘মাওয়ালি’, ‘তোফা’, 'চাঁদনি', 'লমহে', 'মিস্টার ইন্ডিয়া', 'নাগিনা' হোক বা হালফিলের 'ইংলিশ ভিংলিশ', 'মম'— প্রায় একার হাতেই ইন্ডাস্ট্রিকে একের পর এক সুপারহিট ফিল্ম উপহার দিয়েছেন তিনি। তাই অনেকেই তাঁকে বলিউডের ‘প্রথম মহিলা সুপারস্টার’ বলে মনে করেন।

শ্রীদেবীর জন্ম ১৯৬৩-র ১৩ আগস্ট। শুধু হিন্দিতে নয়, তামিল, তেলগু, মালয়ালম ও কন্নড় ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। ১৯৭৫-এর জুলি সিনেমায় শিশুশিল্পী হিসেবে অভিষেক ঘটেছিল তাঁর।

চলে গেলেন বলিউডের চাঁদনি শ্রীদেবী। মাত্র ৫৪ বছর বয়সে আকস্মিক মৃত্যু হল তাঁর। দুবাইয়ে এক আত্মীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন শ্রীদেবী। তাঁর এই প্রয়াণে শোকবিহ্বল বলিউড। অনেকেই বলছেন, শ্রীদেবীর মৃত্যুর খবর বিশ্বাস করাটাই কঠিন।