Subhash Ghai Hospitalised: 'খলনায়ক', 'তাল', একের পর জনপ্রিয় ছবি উপহার দিয়েছেন, হাসপাতালে ভর্তি পরিচালক সুভাষ ঘাই
Bollywood Updates: হাসপাতালে ভর্তি হতে হল কেন বর্ষীয়ান পরিচালককে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

মুম্বই: হাসপাতালে ভর্তি চিত্র পরিচালক সুভাষ ঘাই। মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন তিনি। ৭৯ বছর বয়সি সুভাষের শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন বলে জানা দিয়েছে। পাশাপাশি, শারীরিক ভাবে তিনি দুর্বল হয়ে পড়েছেন, থেকে থেকে মাথা ঘুরছে বলেও জানা গিয়েছে। বর্ষীয়ান পরিচালকের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। (Subhash Ghai Hospitalised)
যদিও চিন্তার কিছু নেই বলে জানিয়েছে সুভাষের মুখপাত্র। বলা হয়েছে, রুটিন চেকআপের জন্যই হাসপাতালে সুভাষ। তিনি সুস্থ রয়েছেন, স্থিতিশীল রয়েছেন। মানুষ যে পরিচালকের স্বাস্থ্য নিয়ে ভাবিত, তার জন্য ধন্যবাদও জানানো হয় সকলকে। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হতে হল কেন বর্ষীয়ান পরিচালককে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। (Bollywood Updates)
সুভাষের মুখপাত্র কিছু বলার আগে, মুম্বইয়ের লীলাবতী হাসপাতালের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, সুভাষের মেডিক্যাল হিস্ট্রি বলছে, তিনি Ischemic Heart Disease-এ আক্রান্ত। পাশাপাশি, অতি সম্প্রতি তাঁর হাইপোথাইরয়ডিজমও ধরা পড়েছে। চিকিৎসক রোহিত দেশপাণ্ডের তত্ত্বাবধানে আইসিইউ-তে ভর্তি রয়েছেন তিনি। যে Ischemic Heart Disease রোগের কথা জানিয়েছে হাসপাতাল, এর আওতায় হৃদযন্ত্রে রক্তের জোগান কমে যায়, অক্সিজেনে ঘাটতি দেখা দেয়।
অভিনেতা হিসেবেই বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেন সুভাষ। 'তকদির', 'আরাধনা' ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয়ও করেন। 'উমঙ্গ' এবং 'গুমরাহ' ছবিতেও দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু অভিনেতা হিসেবে প্রত্যাশিত সাফল্য পাননি সুভাষ। এর পরই পরিচালনার দিকে ঝোঁকেন তিনি। তাঁর পরিচালিত 'কালীচরণ', 'হিরো', 'বিধাতা', 'মেরি জং', 'কর্মা', 'রাম-লখন', 'সওদাগর', 'খলনায়ক', 'পরদেশ', 'তাল' বিপুল জনপ্রিয় হয়।
সামাজিক বিষয় নিয়ে তৈরি ছবি 'ইকবালে'র জন্য ২০০৬ সালে জাতীয় পুরস্কারও পান সুভাষ। ওই বছরই মুম্বইয়ে Whistling Woods International Film and Media Institution-এর সূচনা করেন। সম্প্রতি গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবেও যোগ দেন সুভাষ। তাঁর জীবন অবলম্বনে তৈরি 'Karma's Child: The Story of Indian Cinema's Ultimate Showman' দেখানো হয় সেখানে। ২০২২ সালে সুভাষ '৩৬ ফার্মহাউস' ছবিটি প্রযোজনা করেন। সেটিই এখনও পর্যন্ত শেষ কাজ তাঁর।
আদতে নাগপুরে জন্ম সুভাষের। বাবা ছিলেন দিল্লির দন্ত চিকিৎসক। হরিয়ানায় পড়াশোনা এবং বেড়ে ওঠা সুভাষের। পরে ভর্তি হন Film And Television Institute of India-তে। একটি সাক্ষাৎকারে সুভাষ জানান, প্রথম প্রথম স্টুডিওতে ঢুকতেই পারতেন না তিনি। আত্মবিশ্বাসেরও অভাব ছিল তাঁর মধ্যে। বই পড়ে বন্ধু পাতাতে শেখেন। সেই সময় একটি প্রতিযোগিতায় রাজেশ খন্না এবং ধীরজ কুমারের সঙ্গে তিনিও প্রতিভা হিসেবে জায়গা করে নেন। রাজেশের কেরিয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দৌড়তে শুরু করে। তাঁকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয় বলে জানান সুভাষ।






















