Tagore Song: মনোমালিন্য় ভুলে রবি ঠাকুরের গানে গলা মেলালেন ইমন-রূপঙ্কর
রূপঙ্কর বাগচী ও ইমন চক্রবর্তীর গলায় মুক্তি পেল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান 'একলা চলো রে'।
কলকাতা : ১৯০৫ সালে প্রকাশিত 'একলা চলো রে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় গানগুলির মধ্য়ে অন্য়তম। বহু যুগ ধরে বিভিন্ন শিল্পীরা নিজস্ব ঘরানায় এই গানটিকে গেয়েছেন। একাধিক বাংলা ও হিন্দি ছবিতেও ব্য়বহার হয়েছে এই গান। সম্প্রতি আবারও এই গানকে নতুন রূপে শ্রোতাদের সামনে তুলে ধরলেন রূপঙ্কর বাগচী ও ইমন চক্রবর্তী। ইউটিউবের মাধ্য়মে প্রকাশ্য়ে এল এই গানের মিউজিক ভিডিও।
মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন রিচা শর্মা, গৌরব চট্টোপাধ্য়ায়, অসীম রায়চৌধুরী, লিপিকা চট্টোপাধ্য়ায় ও শ্রীময়ী। ভিডিওটির চিত্র গ্রাহক সুস্মিত শীল ও সহযোগী পরিচালক জয় মুখোপাধ্য়ায়।ভিডিওটির সম্পাদনা করেছেন স্বর্ণাভ চক্রবর্তী।
প্রসঙ্গত, 'একলা চলো রে' রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতবিতানের "স্বদেশ" বিভাগে অন্তর্ভুক্ত।
আরও পড়ুন...
একলা চলো রে ঠাকুরের গীতবিতানের "স্বদেশ" বিভাগে অন্তর্ভুক্ত মহাত্মা গান্ধী, যিনি এই গানের দ্বারা গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন, এটিকে তাঁর প্রিয় গানগুলির মধ্যে একটি হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কৃষ্ণকুমার কুন্নথের (K K)প্রয়াণের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী রূপঙ্কর বাগচীর একটি মন্তব্য। তিনি একটি ফেসবুক লাইভে কে কে-র প্রসঙ্গে নিজের মন্তব্য প্রকাশ করেছিলে রূপঙ্কর (Rupankar Bagchi)। আর সেই মন্তব্যকে ঘিরে দেখা দিয়েছিল নানান বিতর্ক।
রূপঙ্কর বাগচী বলেন, 'আমি তো গান শুনে যা বুঝলাম কে কে-র থেকে আমরা সবাই ভাল গান গাই। তো আমাদের নিয়ে আপনারা এত উত্তেজনা বোধ করেন না কেন বলুন তো? কী কারণ? কে কে, কে কে, কে কে... কে? হু ইজ কে ম্যান? আমরা যে কোনও কে-র থেকে বেশি ভাল।' রূপঙ্করের এই মন্তব্যের পরই ট্রোলের বন্যা বইছিল নেট দুনিয়ায়। মুখ খুলছিলেন অন্যান্য শিল্পীরাও। নিজের বলিষ্ঠ মত দিয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তীও (Iman Chakraborty)।
সঙ্গীতশিল্পী ইমন বলেছিলেন, 'রূপঙ্কর দা কিছু বক্তব্য রেখেছেন। ওঁর মতো করে। উনি নিজের বক্তব্য রেখেছেন। এবং সেখানে আমার নামও রয়েছে যে আমি কতটা ভালো গান গাই। আমার পারফরম্যান্সের জন্য কত লোক উপচে পড়ে। তার জন্য আমি অনেক কৃতজ্ঞ। থ্যাঙ্ক ইউ রূপঙ্কর দা। তুমি এভাবে আমার প্রশংসা করেছো বলে। বাংলার শিল্পীদের হয়ে কথা বলেছ বলে। খুব জোর গলায় তুমি এই কথাগুলো বলেছ। কিন্তু এটা বলার আগে যদি একবার যাদের নাম বলেছ, তাদের থেকে জানতে চাইতে যে এটা তাদেরও বক্তব্য কিনা, তাহলে খুব ভালো হত। কারণ, এটা একেবারেই আমার বক্তব্য নয়।'