Tunisha Sharma Suicide Case: তুনিশার মৃত্য়ুতে খুনের অভিযোগ দায়ের! চাঞ্চল্যকর তথ্য পুলিশের হাতে
Tunisha Sharma Death Case: প্রয়াত অভিনেত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তুনিশার সহ-অভিনেতা এবং প্রাক্তন প্রেমিক শিজান খানকে
মুম্বই: মাত্র ২০ বছর বয়সে প্রয়াত (Tunisha Sharma Death) হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তুনিশা শর্মা (Tunisha Sharma)। ধারাবাহিকের সেটে মেকআপ রুম থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর ঝুলন্ত দেহ। প্রয়াত অভিনেত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তুনিশার সহ-অভিনেতা এবং প্রাক্তন প্রেমিক শিজান খানকে (Sheezan Khan)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিনেত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এবার খুনের অভিযোগ তুললেন তুনিশা শর্মার মামা।
তুনিশাকে খুন করা হয়েছে, অভিযোগ অভিনেত্রীর মামার-
এদিন এক সাক্ষাৎকারে তুনিশা শর্মার মামা বিস্ফোরক অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, তাঁর ভাগ্নীকে খুন (Murder) করা হয়েছে। তুনিশা আত্মহত্যা (Suicide) করেননি। খুনের ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রয়াত অভিনেত্রীর শেষ পোস্টে লেখা ছিল, 'যদি কেউ নিজের প্যাশনে এগিয়ে যেতে চান, তাহলে দয়া করে তাঁকে আটকাবেন না।' তুনিশার মামার দাবি, এরকম মোটিভেশন ছিল যার একদিন আগেও, সে কখনও আত্মহত্যা করতে পারে না। এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। তুনিশাকে খুন করা হয়েছে (Tunisha Sharma Death) । এরইসঙ্গে সরকার এবং পুলিশের কাছে গোটা ঘটনা ভালো করে খতিয়ে দেখে তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন - Chanchal Chowdhury: 'বাকি জীবনটা হয়তো...', বাবার মৃত্যুতে আবেগঘন বার্তা চঞ্চল চৌধুরীর
তুনিশা শর্মার সঙ্গে কেন বিচ্ছেদ হয়েছিল, সে সম্পর্কে সঠিক কারণ জানাতে পারেননি তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক শিজান খান। এমনটাই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তের সঙ্গে অনেক মহিলার সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। তুনিশার মামা অভিযোগ দায়ের করেছেন যে, শিজান সমস্ত চ্যাট ডিলিট করে দিয়েছেন। যাতে কোনও প্রমাণ না পাওয়া যায়। তারপরও পুলিশ একাধিক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। ডিলিট করে দেওয়া চ্যাটগুলি উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। শিজানের সঙ্গে তাঁর গোপন প্রেমিকার চ্যাটও হাতে এসেছে পুলিশের। এমনটাই দাবি পবন শর্মার।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে যে, তদন্তে সাহায্য করছেন না শিজান খান। বরং, পুলিশকে ধোঁকা দেওয়ার যাবতীয় চেষ্টা করছেন। এক মহিলার সঙ্গে শিজানের দীর্ঘ কথপোকথন হয়েছিল হোয়াটসঅ্যাপে। সেই সমস্ত চ্যাট ডিলিট করে দিয়েছে অভিযুক্ত। ফোনেও কথা হত তাঁদের। সেই মহিলাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ডিলিট করে দেওয়া চ্যাট উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।