Sohag Chand: রথযাত্রা উদযাপনে মুখোমুখি সোহাগ ও চাঁদ, কোন পথে বাঁক নেবে সম্পর্কের সমীকরণ?
Daily Serial Update: চরকির পাড়ায় রথযাত্রার উদযাপন চলাকালীন, একাধিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে ছিল জিলিপি খাওয়া, পাপড় খাওয়া থেকে রথ টানার প্রতিযোগিতা, সবই। সেখানে জিততে পারল সে?
কলকাতা: কালার্স বাংলার (Colors Bangla) জনপ্রিয় 'সোহাগ চাঁদ' (Sohag Chand) ধারাবাহিকে রথযাত্রা (Rath Yatra) স্পেশাল পর্ব। 'বন্ধু'দের পুনর্মিলন। রথযাত্রার উদযাপনে চাঁদের সারপ্রাইজে প্রচণ্ড চমকে যায় সোহাগ। কী ঘটে ঠিক?
'সোহাগ চাঁদ' ধারাবাহিকে নতুন মোড়
চরকির পাড়ায় রথযাত্রার উদযাপন চলাকালীন, একাধিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। যার মধ্যে ছিল জিলিপি খাওয়া, পাপড় খাওয়া থেকে রথ টানার প্রতিযোগিতা, সবই। জিলিপি ও পাপড় খেতে গিয়ে বেশ বিপাকেই পড়ে চরকি, কিন্তু তাঁকে সোহাগ বারবার রথটানায় মন দিতে বলে। রাজের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রথ সাজিয়ে তোলে চরকি। শেষ সীমা পর্যন্ত রথ টানতে তৈরি সে। যখন আসল সময় এল, নিজের সমস্ত শক্তি দিয়ে রথের রশিতে টান দিল চরকি, কিন্তু দড়িই ছিঁড়ে গেল। তবে এমন পরিস্থিতিতে একটুও ভেঙে না পড়ে নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে প্রতিযোগিতায় জিতে যায় সে।
এরপর বিজয়ীদের পুরস্কার দেওয়ার পালা। সেখানেই আসল মজা। পুরস্কার দেওয়ার জন্য প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রাজ, যা দেখে যারপরনাই খুশি চরকি। চাঁদকে দেখেই আনন্দে জড়িয়ে ধরে সে, 'বন্ধু'কে ডেকে ওঠে। আর সোহাগ? প্রায় ৬ বছর পর চাঁদকে আচমকা দেখে সে আনন্দিত নাকি হতবাক? নাকি দু'টোই। যে সত্যকে সে এতদিন নিজের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিল তা হজম করতে যেন হিমশিম খাচ্ছে সে। ওদিকে, চাঁদ এখনও সম্পর্কের সমীকরণ ঠিক মতো জানে না। সে এখনও মনে করে রাজ ও সোহাগ স্বামী-স্ত্রী ও চরকি তাদের মেয়ে। চরকির আসল বাবা কে তা কি জানতে পারবে চাঁদ? এবার যে সোহাগ ও চাঁদ একেবারে মুখোমুখি, কী হবে ভবিষ্যৎ? কোন দিকে এগোবে গল্প? জানা যাবে 'সোহাগ চাঁদ' ধারাবাহিকে কালার্স বাংলায় প্রত্যেকদিন সন্ধ্যা ৭টায় ও যে কোনও সময়ে জিও সিনেমায়।
আরও পড়ুন: Alia Bhatt: শতবর্ষ পুরনো বুননে নজরকাড়া সাজ, অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে আলিয়ার শাড়ির নেপথ্য কাহিনি জানেন?
'সোহাগ চাঁদ' ধারাবাহিকের গল্প এক ঝলকে
এই ধারাবাহিকের গল্প শুরু হয়েছিল দুই বিপরীত মেরুর মানুষকে কেন্দ্র করে। সোহাগ একজন 'প্লাস সাইজ' আদ্যন্ত রোম্যান্টিক মহিলা। সে ব্যাঙ্ক কর্মচারী। তার চেহারার জন্য প্রায় ৩৪ জন পাত্র তাকে বাতিল করেছে। কিন্তু তথাকথিত 'নিখুঁত' মহিলা হয়ে উঠতে একেবারেই রাজি নয় সে। বলা ভাল, সে বিশেষ ভাবিতও নয় সেই বিষয়ে। সে বিশ্বাস করে যে একদিন সে নিজের 'প্রিন্স চার্মিং'কে খুঁজে পাবে যে তাকে তার ভিতরের সৌন্দর্য্যের জন্য ভালবাসবে। অন্যদিকে চাঁদ 'ফিটনেস ফ্রিক'। সে নিজের একটা স্পোর্টস অ্যাকাডেমি খুলতে চায়। সে নিজের জন্য এমন একজন পাত্রী খুঁজছে যে সুন্দরী ও নিখুঁত, ভারী ওজনের একেবারেই নয়। যদিও সোহাগ ও চাঁদ ছোটবেলার বন্ধু ও প্রতিবেশী। গল্পের ফেরে তাদের শেষ পর্যন্ত বিয়ে হয়। অনেক টানাপোড়েনের পর প্রায় ৬ বছর অতিক্রান্ত, একে অপরের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ ছিল না সোহাগ ও চাঁদের। এবার ফের তারা মুখোমুখি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।