প্রধান বিচারপতি জে এস খেহর, বিচারপতি এন আব্দুল নাজির, বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি আর এফ নরিম্যান ও বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ তিন তালাক নিয়ে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে। তিন বিচারপতি এই প্রথাকে অসাংবিধানিক উল্লেখ করেন। এর ফলে, ৩:২ অনুপাতে সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক প্রথার অবসান ঘটাল। পাঁচ বিচারপতি তাঁদের রায়ে কী জানিয়েছেন, এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক। এখানে বলে রাখা প্রয়োজন, এই পাঁচ বিচারপতি পাঁচ ভিন্ন ধর্মাবলম্বী, যাঁরা এই মুসলিম মহিলা সংক্রান্ত এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে রায় শোনালেন।
2/4
প্রধান বিচারপতি খেহর ও বিচারপতি এন আব্দুল নাজিরের রায়ের অংশ-- সুন্নী হন্ফী বর্গ একসঙ্গে তিন তালাককে মান্যতা দেয়। ফলে সংবিধানের ২৫ ধারা অনুযায়ী, তা ধর্মের স্বাধীনতার আওতায় পড়ে। আমরা সংবিধানের ১৪২ ধারা প্রয়োগ করে কেন্দ্রকে নির্দেশ দিচ্ছি, যে আগামী ৬ মাসের মধ্যে এই সংক্রান্ত আইন আনতে। ততদিন আমরা এই প্রথা ব্যবহারের ওপর স্থগিতাদেশ দিচ্ছি।
3/4
অন্য তিন বিচারপতি ইউ ইউ ললিত, বিচারপতি আর এফ নরিম্যান বলেন-- ইসলাম অনুযায়ী, তিন তালাক ভুল। পুরুষদের এই অধিকার দেওয়া মানে মহিলাদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা। এচা মহিলাদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।
4/4
কিন্তু, বিচারপতি কুরিয়েন জোসেফ মন্তব্য করেন-- এর আগে শামিম আরা মামলায় শীর্ষ আদালত তিন তালাককে বেআইনি বলে উল্লেখ করেছে। সেই সময় আদালত বিস্তারিতভাবে কিছু জানায়নি। এখন জানানো প্রয়োজন। ইসলামি আইনের চারটে ধারা রয়েছে-- কোরান, হদীস, ইজমা ও কিয়াস। কোরান প্রধান ধারা। যা কোরানে বলা নয়, তা মৌলিক হিসেবে গণ্য করা যায় না। কারণ, বাকি তিন ধারায় লেখা কথা কোরানের পরিপন্থী হতে পারে না। আমার মতে, সংবিধানে ধর্মীয় অধিকারের সংরক্ষণের আওতায় আসা উচিত নয় তিন তালাকের।