Pani Puri Row: অপরিচ্ছন্ন হাতেই ফুচকা পরিবেশন, ৫৮ দোকানে হানা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিকদের
Chennai Pani Puri Row: দৃশ্যটা নেহাত অচেনা নয় কারও। তবে এই অপরিচ্ছন্ন হাতের মারফত পেটে যাচ্ছে মারণ ভাইরাসও। এবার খাদ্য় সুরক্ষা দফতর এই ব্যপারে কড়া হল।
Chennai Pani Puri Row: অপরিচ্ছন্ন হাতে ফুচকা পরিবেশন করা হচ্ছে। এই দৃশ্য় দেখতে সকলেই কমবেশি অভ্যস্ত। দিনের পর দিন এই ফুচকাই খেয়ে চলেছেন তাবৎ ফুচকাপ্রেমীরা। তবে এই নিয়ে এবার উদ্বেগ প্রকাশ করল খাদ্য সুরক্ষা দফতর। গতকালই কর্ণাটকে পানি পুরির দোকানগুলিকে সতর্ক করেছিল প্রশাসন। খাদ্য সুরক্ষা দফতরের কথায়, পানি পুরির মধ্যে রাসায়নিক ও অন্যান্য ক্ষতিকর দ্রব্য মেশানো হয়ে থাকে। এর পরদিনই বাজারে অভিযান চালায় তামিলনাডুর খাদ্য সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। মোট ৫৮ টি দোকানে হানা দেয় তাঁরা।
নমুনা পরীক্ষার নির্দেশ
৫৮টি দোকানে হানা দিয়ে সেখান থেকে খাবারের নমুনা সংগ্রহ করেছেন আধিকারিকরা। সেগুলি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা করার জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে এতে কিছুমাত্র গুরুত্ব কমছে অপরিচ্ছন্ন হাতে ফুচকা পরিবেশনের।
অপরিচ্ছন্ন হাতে ফুচকা পরিবেশন
অধিকাংশ ফুচকাওয়ালারাই হাতের মধ্যে কোনও গ্লাভস পরেন না। যেই হাতে আলু মাখেন, সেই হাতেই জল গোলেন আবার সেই হাতেই ফুচকা জলে ডুবিয়ে পরিবেশন করেন। ফুচকার জলের মধ্যে হাতের সব ময়লা মিশে যায়। অনেক সময় কোনও কোনও ফুচকাওয়ালাকে যে হাতে ফুচকা পরিবেশন করছেন, সেই হাতেই টাকা নেন। ফলে টাকার মধ্য়ে লেগে থাকা ময়লা পরবর্তী ফুচকায় সরাসরি লাগে। ও তৎক্ষণাৎ তাফুচকা প্রেমীর পেটে! এই দিন এই সব বিষয়গুলি নিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তামিলনাডুর খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
৭০০ দোকানে হানা দেওয়ার পরিকল্পনা
একটি বা দুটি নয়, মোট ৭০০টি দোকানে হানা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে খাদ্য সুরক্ষা দফতরের অফিসারদের। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দ্য হিন্দুকে পি সতীশ কুমার এই বিষয়টি খোলসা করে বলেন। তাঁর কথায়,বর্তমানে চেন্নাই শহরে কমবেশি ১৫০০টি দোকান ফুচকা বিক্রি করে। এই ফুচকার দোকানগুলির সবকটিতে হানা দেওয়া সম্ভব না হলেও অর্ধেক দোকান অন্তত ঘুরে দেখবেন আধিকারিকরা
কী কী পরামর্শ দিচ্ছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর ?
- ফুচকা পরিবেশনের সময় হাতে গ্লাভস পরার পরামর্শ দিচ্ছে তামিলনাডুর খাদ্য সুরক্ষা দফতর।
- মশলা তোলার জন্য হাতের বদলে চামচ ব্যবহার করতে হবে।
- এছাড়াও, যেকোনওরকম রাসায়নিকের ব্যবহার বন্ধ করা বাঞ্ছনীয়।
বাংলার পরিস্থিতি
প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গেও ফুচকা পরিবেশনের ব্য়াপারে একই রকম অনিয়ম ও অপরিচ্ছন্নতা দেখা যায়। যার ফলে পেটের সমস্যা শুধু নয়, গুরুতর স্বাস্থ্যের সমস্যাও হতে পারে। একেই জলবাহিত রোগের প্রকোপ বর্ষাাকালে বেড়ে যায়। তার উপর ফুচকাওয়ালাদের অপরিচ্ছন্নতার জন্য অনেককেই মাসুল গুনতে হতে পারে।
আরও পড়ুন - সিগারেট বিড়ির নেশা ছাড়তে কোন পদ্ধতি বেশি কার্যকর? জানাল WHO
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )