Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে খাওয়া বারণ অনেক কিছুই, তবে নিশ্চিন্তে খেতে পারেন কয়েকটি ড্রাই ফ্রুটস-বাদাম
Health Tips: কয়েকটি ড্রাই ফ্রুটস এবং বাদাম খেলে কমতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন। কী কী খেলে উপকার পাবেন, জেনে নিন।

Uric Acid: শরীরে ইউরিক অ্যাসিড (High Uric Acid) বেশি মাত্রায় থাকা মানে হাজার সমস্যা। পায়ে ব্যথায় কষ্ট পাবেন আপনি। পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা দেখা যাবে। একাধিক খাবার খাওয়া বারণ হয়ে যাবে। ওষুধও খেতে হবে প্রয়োজনে। প্রাকৃতিক ভাবে বলা ভাল কয়েকটা বিশেষ ধরনের খাবার খেয়ে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমানো সম্ভব। কয়েকটি ড্রাই ফ্রুটস এবং বাদাম খেলে কমতে পারে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নেবেন।
কোন কোন ড্রাই ফ্রুটস এবং বাদাম খেলে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমতে পারে, জেনে নিন
পেস্তা- পেস্তা খেলে কমবে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। তাই বলে মুঠো মুঠো পেস্তা খাবেন না। পেস্তায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং খুব অল্প পিউরিন। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায় পেস্তা। কমায় ইনফ্লেমেশনের সমস্যাও। প্রদাহজনিত সমস্যা কমলে শরীরে ব্যথা, যন্ত্রণাও কমবে। দুধের মধ্যে পেস্তার গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে পারেন।
আখরোট- আখরোট খেলে কমবে শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা। ভিটামিন ই, ওমেগা ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপকরণ রয়েছে আখরোটে। বাতের ব্যথায় কষ্ট পেলে আখরোট খেয়ে দেখতে পারেন। ব্যথা কিছুটা কমতে পারে। তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। আর বেশি আখরোট খাবেন না। রোজ আখরোট খেলে সকালে একটা করে খেতে পারেন।
আমন্ড- আমন্ড খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। তার মধ্যে একটা হল আমন্ড খেলে ইউরিক অ্যাসিড কমে। কম পিউরিন, বেশি ফাইবার এবং নিউট্রিয়েন্টস যুক্ত আমন্ড খেলে হজমের সমস্যাও কমে। সকালে তিন থেকে চারটে আমন্ড খেতে পারেন। আগের রাতে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খোসা ছাড়িয়ে খেয়ে নিন।
কাজুবাদাম- ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে কাজুবাদাম খেতে পারেন। তবে বেশি খেলে দ্রুত ওজন বেড়ে যাবে। তাই সতর্ক থাকুন। কাজুতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম যা কিডনি ভাল রাখে। আর কিডনি ভাল থাকলে শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড বের করে দেয় সহজে। কাজুবাদাম খুব বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। তাই রোজ খেলে অল্প পরিমাণে খাওয়া জরুরি।
খেজুর- খেজুর খেলেও ইউরিক অ্যাসিডের অতিরিক্ত পরিমাণ কমবে আপনার শরীরে। তবে অল্প পরিমাণে খেতে হবে রোজ। খেজুরে থাকা পটাশিয়াম এবং ফাইবার শরীরের অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। খেজুর দিনে তিন থেকে চারটে খেতে পারেন।
আরও পড়ুন- সকালে ঘুম থেকে উঠে কোন কোন কাজ নিয়ম মেনে করলে ভাল থাকবে আপনার হৃদযন্ত্র?
ডিসক্লেইমার: লেখায় উল্লেখিত দাবি বা পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। এটি মেনে চলার আগে অবশ্যই সরাসরি বিশেষজ্ঞ/চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )























