Joint Pain: গাঁটের ব্যথা দূরে রাখতে প্রয়োজন বাছাই খাবার, তালিকায় কী কী?
Lifestyle Tips: বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে থাকেন আগে থেকে সতর্ক হলে অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয় গাঁটের ব্যথার মতো সমস্যা।
কলকাতা: বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পেশি ও হাড়ের ক্ষমতাও অনেক সীমিত হয়ে যায়। তার জন্যই বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে গাঁটের ব্যথাও ক্রমশ বাড়তে থাকে। তাকে আমরা নানা সময় জয়েন্ট পেইন (Joint Pain)-ও বলে থাকি। এই রোগের ক্ষেত্রে ব্যায়াম এবং নিয়ম মেনে জীবনযাপন করা মূল বিষয় বলে জানিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তবে তাঁদের পরামর্শ আগে থেকে সতর্ক হলে অনেকটাই ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব হয় গাঁটের ব্যথার মতো সমস্যা।
খাবারের সঙ্গে স্বাস্থ্য প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। কিছু কিছু রোগ এড়ানোর জন্য বিশেষভাবে ডায়েটের তালিকা তৈরি করা প্রয়োজন। গাঁটের ব্যাথা বা Joint Pain এড়ানোর জন্যও এমন উপায় নেওয়া প্রয়োজন। কী কী খাবার রয়েছে সেই তালিকায়?
দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার নিয়মিত রাখলেই স্বাস্থ্যের উপর ভাল প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু খাবার হাড়ের ঘনত্ব ঠিক রাখতে সাহায্য করে। কিছু খাবার, লিগামেন্ট বা কোষকলার স্বাস্থ্য ভাল রাখে। প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে কোনও কোনও খাবার।
ওমেগা থ্রি:
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মানবদেহের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলিকে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বলা হয়। এই পুষ্টিগুণ শরীরে প্রদাহজনক প্রোটিন কমাতে সাহায্য করে যার ফলে গাঁটের চারপাশে কম প্রদাহ হয় এবং ব্যথা কমায়। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের দুর্বল কার্যকারিতা, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ দিতে পারে। ওমেগা-৩ পাওয়া যায় বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছে।
অলিভ অয়েল:
ভারতীয় রান্নাঘরে অলিভ অয়েল খুব কমই ব্যবহার করা হয়। যদিও এই তেলের নানা উপকার রয়েছে। সূর্যমুখী বা অন্য উদ্ভিদ নির্ভর তেলের চেয়েও বেশি পুষ্টিগুণ রয়েছে অলিভ অয়েলে। এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ওমেগা থ্রি রয়েছে।
বাদাম:
বাদাম এবং বীজের পুষ্টিগুণ গাঁটের ব্যথা কমাতে কার্যকরী। মেঝেতে বসতে বা হাঁটতে অসুবিধা হয় অনেরসময়, সেগুলি রুখতেই বাদাম এবং বিভিন্ন বীজ রাখা যায় ডায়েটে। এগুলি ওমেগা থ্রি সমৃদ্ধ। আখরোট এবং আরও নানা ধরনের বাদাম, চিয়া বীজের মতো খাবারগুলি ফুলে যাওয়া গাঁট এবং হাড়ের সংযোগকারী টিস্যুর প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
মটরশুঁটি:
উচ্চ প্রোটিনযুক্ত মটরশুঁটি এবং মসুর ডাল ফাইবার এবং প্রয়োজনীয় খনিজের উৎস। এগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ রয়েছে যা শীতকালে ফুলে যাওয়া গাঁট এবং পেশির ব্যথা দূরে রাখতে সাহায্য করবে। মটরশুঁটি, মসুর ডাল, ছোলা এবং সয়াবিন ডায়েটে রাখা প্রয়োজন। এই খাবারগুলিতে অ্যান্থোসায়ানিন নামে ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। যা গাঁটের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে প্রয়োজন।
রসুন, পেঁয়াজ, আদা:
রসুন, পেঁয়াজ, আদা এবং হলুদ গাছের শিকড়জাতীয় বস্তু যা আমরা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করি। সবকটিরই প্রদাহ রোখার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই খাবারগুলি আর্থারাইটিসের উপসর্গগুলিকে কমাতে সাহায্য করে।
ডার্ক চকোলেট:
ডার্ক চকোলেট উপকারী খাবারগুলির মধ্যে অন্যতম। গাঁটের শক্তি বৃদ্ধি করতে, হাড়ের সংযোগস্থলের পেশি বা কলার শক্তি বৃদ্ধি করতে উপকারী। কারণ ডার্ক চকোলেটে ভরপুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। প্রদাহ রুখতেও কার্যকরী।
ডিসক্লেইমার : কপিতে উল্লেখিত দাবি, পদ্ধতি পরামর্শস্বরূপ। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাপদ্ধতি/ডায়েট ফলো করার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ / চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন ও সেইমতো নিয়ম মেনে চলুন।
আরও পড়ুন: রান্নায় অত্যধিক ঝাল দিয়ে ফেলেছেন? কীভাবে চটজলদি কমাবেন?
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )