Child Fever : বাচ্চাদের জ্বর হলে কোন কোন লক্ষণ দেখলে আর দেরী করা যাবে না ?
বাচ্চাদের জ্বরকে সিজন চেঞ্জের জ্বর বলে অনেকেই প্রাথমিক ভাবে অগ্রাহ্য করে, কিন্তু তা করা চলবে না । কয়েকটি লক্ষণ দেখলে আর অপেক্ষা করা যাবেই না।
কলকাতা : সামনেই উৎসবের মরশুম। শিশুরা এতদিন গৃহবন্দি থাকলেও পুজোয় বেরনোর ইচ্ছে থেকে শিশুদের রোখা কঠিন । এমনিতেই পুজো শপিং-এও বাবা-মায়ের সঙ্গী হচ্ছে কচিকাঁচারা। অন্যদিকে জেলায় জেলায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শিশুদের অজানা জ্বর। এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের বিশেষ সতর্ক হতেই হবে। কয়েকটি লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হতে হবে। বাচ্চাদের জ্বরকে সিজন চেঞ্জের জ্বর বলে অনেকেই প্রাথমিক ভাবে অগ্রাহ্য করে, কিন্তু তা করা চলবে না । কয়েকটি লক্ষণ দেখলে আর অপেক্ষা করা যাবেই না। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জয়দেব রায় জানালেন,
- সর্দি-কাশি
- শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য সিম্পটম
- ভাইরাস প্রকোপ বাড়িয়ে ফুসফুসে ছড়াচ্ছে করোনার মতো। অনেক ক্ষেত্রেই এর ফলে ফুসফুসের শিরা - ধমনীতে স্প্যাসম দেখা দিচ্ছে। অর্থাৎ রেসপিরেটরি ট্র্যাকে প্যাজম হয়ে নালীটা সরু করে দিচ্ছে। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা বাড়ছে। তখন অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া জরুরি হয়ে পড়ছে।
- জ্বর ৫-৬ দিন রয়েছে। ওষুধ খেয়ে ছাড়লেও ফিরে ফিরে আসছে।
- বাচ্চা নেতিয়ে পড়ছে।
- খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। হাঁপিয়ে উঠছে
- ২-৩ দিনের জ্বর যদি না কমে ও অবস্থা অবনতি হয়, তবে সাথে সাথে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।
- পাঁজরার হাড় যদি ভিতরের দিকে ঢুকে যায় তৎক্ষণাৎ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
শিশুদের জ্বর নিয়ে জেলায় জেলায় ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ। করোনা সংক্রমণের গ্রাফ কমতেই চোখ রাঙাচ্ছে RS virus। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদের যে জ্বর হচ্ছে, তার ২০ শতাংশই RS ভাইরাসের কারণে। এই ভাইরাসের প্রকোপের কথা উঠে এসেছে জাপান ও ইউরোপের জার্নালেও! চিকিৎসকরা বলছেন, শিশুদের যে জ্বর হচ্ছে, তার ২০ শতাংশই RS ভাইরাসের কারণে। এই RS ভাইরাস প্রচণ্ড সংক্রামক। জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসনালীতে প্রদাহ, ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে ধীরে ধীরে শিশুদের শরীরে জটিলতা বাড়িয়ে দেয়। অন্যান্য অঙ্গকেও প্রভাবিত করে। সম্প্রতি জাপানের একটি জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )