Health News:তাপমাত্রার ওঠানামায় অশনি-সঙ্কেত হাঁপানি রোগীদের? সুস্থ থাকতে কী করবেন?
Winter And Asthma: কারও পৌষমাস, কারও সর্বনাশ! শীতকাল এলে অনেক সময়ই এই 'সর্বনাশের' আশঙ্কায় তটস্থ হয়ে থাকেন হাঁপানি রোগীরা।যে কোনও মুহূর্তে সমস্যা বাড়তে পারে তাঁদের, এমন একটা ধারণা চালু রয়েছে অনেকের মধ্যেই।
পায়েল মজুমদার, কলকাতা: কারও পৌষমাস, কারও সর্বনাশ! শীতকাল এলে অনেক সময়ই এই 'সর্বনাশের' আশঙ্কায় তটস্থ হয়ে থাকেন হাঁপানি (asthma in winter) রোগীরা। যে কোনও মুহূর্তে সমস্যা বাড়তে পারে তাঁদের, এমন একটা ধারণা চালু রয়েছে অনেকের মধ্যেই। কিন্তু বাস্তবটা কি সত্যিই তাই? নাকি অন্য কোনও নির্দিষ্ট মরসুমের থেকে ঋতুবদলের(Season Change And Winter) সময়টাই বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন হাঁপানি রোগীদের। বিশেষজ্ঞদের মতামত মানলে, ঋতুবদলের সময়টিই বেশি খেয়াল রাখা দরকার (tips on how to handle asthma)।
হাঁপানি কী?
সোজা করে বললে, এই রোগে শ্বাসনালী সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ফলে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। সঙ্গে কাশিও হতে পারে। বহু ক্ষেত্রে বুকে চাপ, ব্যথাও হতে পারে। কিছু কিছু রোগীর ক্ষেত্রে আবার শ্বাস নেওয়ার সময় বিশেষ এক ধরনের আওয়াজও শোনা যায়। তবে মূলত এর উপসর্গ শ্বাসকষ্ট যার জেরে ঘুমোতেও অসুবিধা হতে পারে।
কত ধরনের...
- এক্সারসাইজ ইনডিউজড: বহু ক্ষেত্রে ব্যায়াম বা ওয়ার্কআউট করার সময় হাঁপানি দেখা দিতে পারে।
- অকুপেশনাল: কর্মক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনও রাসায়নিকের সংস্পর্শে এলে সেখান থেকেও হাঁপানি হতে পারে। যেমন কোনও গ্যাস বা ধোঁয়া বা ধুলো।
- অ্যালার্জি ইনডিউজড: পোলেন বা পরাগ, পোষ্যের লালারস, আরশোলার বর্জ্যের মতো নানা সাধারণ কিংবা বিশেষ জিনিস থেকে অ্যালার্জিও হাঁপানির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
কাদের সতর্ক থাকা দরকার...
গবেষণা বলছে, বাবা-মা বা ভাই-বোনের হাঁপানি থাকলে আগে থেকে সতর্ক হওয়া ভাল। তা ছাড়া, ছোটবেলায় এমন কোনও ঘটনা যা ফুসফুসের বৃদ্ধিতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে ঘটে থাকলে, সেক্ষেত্রে পরে হাঁপানি দেখা দিতে পারে। অন্য কোনও অ্যালার্জি থাকলেও সচেতন হওয়া ভাল। বাড়তি মেদও এক্ষেত্রে অন্যতম ঝুঁকির কারণ হতে পারে। তবে এসবের পাশাপাশি নজর দিতে হবে লাইফস্টাইল ফ্যাক্টরের দিকেও। অর্থাৎ প্রত্যেক দিনের জীবনযাপনের দিকেও।
তাপমাত্রার হেরফের ও হাঁপানি...
আমরি,মুকুন্দপুরের পালমোনলজিস্ট, চিকিৎসক অংশুমান মুখোপাধ্যায়ের মতে, 'গ্রীষ্ম বা শীত, কোনও নির্দিষ্ট ঋতুর থেকেও হাঁপানি রোগীদের ক্ষেত্রে যেটা গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে তা হল ঋতুবদলের সময়টা। সাধারণত অক্টোবর-নভেম্বর এবং মার্চ-এপ্রিল নাগাদ তাঁদের সমস্যা বাড়ে।' কেন? চিকিৎসক মুখোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, 'সময়টা পোলেন বা পরাগের জন্য আদর্শ সময় যার থেকে অনেকের অ্যালার্জি হতে পারে। আর এটি হাঁপানির অন্যতম উৎস।' এছাড়াও একাধিক ভাইরাসও এইসময়ে শ্বাসনালীতে দাপট দেখাতে চায়। সব মিলিয়ে ঋতু বদলের সময়টাই হাঁপানি রোগীদের জন্য বিশেষ সতর্কতার সময়।
কী করতে হবে?
চিকিৎসক মুখোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, হাঁপানি কখনই পুরোপুরি সারে না। তাই এটি ভেবে এগোনো ভালো। তবে কিছু জিনিস মেনে চললে বহুলাংশে সুস্থ জীবন কাটানো যায়। অর্থাৎ লাইফস্টাইলের উপর অনেকটাই ভালো থাকা নির্ভর করে। বিশেষত ঋতু পরিবর্তনের সময় কয়েকটি নিয়ম মানতেই হবে।
- ঠান্ডা লাগানো যাবে না।
- সকালে ও সন্ধ্যায় হাঁটতে বেরোলে গলা ও নাক-মুখ ভালো করে ঢেকে বেরোতেই হবে।
- অন্যদের ঠান্ডার অনুভূতি না হলেও হাঁপানি রোগীদের আগাম সাবধানতা নিতে হবে।
- চুল বেশিক্ষণ ভিজে রাখা যাবে না।
- শরীরে জল শোকানো যাবে না।
- ইনফ্লুয়েঞ্জা ও নিউমোনিয়া টিকা আবশ্য়ক।
- সামান্য হাঁচি, নাক বন্ধ ও বুকে চাপের মতো সমস্য়া থাকলেই ডাক্তারের কাছে যান। তিনি প্রয়োজন বুঝলে স্পাইরোমেট্রি করে দেখে নেবেন, আপনার সামান্য হলেও হাঁপানি রয়েছে কিনা। থাকলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু হবে।
- ইনহেলার বা ওষুধ চললে ডাক্তারের সঙ্গে কথা না বলে মোটেও বন্ধ করা যাবে না।
আরও পড়ুন:ভেজা পিচে শুরু হল না রঞ্জি ম্যাচ ! ইডেনে বেনজির বিতর্ক
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )