Sickle cell disease: সিকল সেল অ্যানিমিয়া রোগীদের জোড়া বিপদ ! কেন এমনটা বলছেন বিজ্ঞানীরা
Sickle cell disease issues: একেই সিকল সেল অ্যানিমিয়ার মতো জটিল রোগ। এই রোগের চিকিৎসার খরচ সামলাতেই অনেকে হিমসিম খান। তার উপর আরেক বিপদের হদিশ পেলেন চিকিৎসকরা।
কলকাতা: যাকে বলে মরার উপর খাঁড়ার ঘা ! সিকল সেল রোগে (Sickle cell disease ) আক্রান্ত শিশুদের জীবন ছোট থেকেই আর পাঁচটা শিশুদের মতো নয়। সিকল সেল রোগের একটি বিশেষ ধরন হল সিকল সেল অ্যানিমিয়া (Sickle cell anaemia)। সেটিও রক্তের রোগ। যে রোগের কারণে নিয়মিত রক্ত নিতে হয়। পাশাপাশি আরও কিছু চিকিৎসাও চলতে থাকে। ইদানীংকালের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সিকল সেল অ্যানিমিয়ার শিশুদের জোড়া বিপদ। কারণ এই রোগে আক্রান্ত দুই তৃতীয়াংশ শিশুই জন্ম নেয় সুবিধাবঞ্চিত এলাকায়। অর্থাৎ তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা অনেকটাই কম হয়। যার ফলে রোগের চিকিৎসা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
সিকল সেল রোগ কী (Sickle Cell disease)?
সিকল সেল রক্তের একটি বিশেষ ধরনের রোগ। এই রোগে রক্তের হিমোগ্লোবিনে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে রোগীর ব্লাড ট্রান্সফিউশন করাতে হয়। হাড়ের মজ্জাও নিয়মিত ট্রান্সপ্লান্ট করাতে হয় এই রোগে আক্রান্তদের। এছাড়াও, বেশ কিছু ওষুধ খান রোগীরা। সিকল সেল অ্যানিমিয়া বা রোগের চিকিৎসা যথেষ্ট ব্যয়সাপেক্ষ। শুধু তাই নয়, এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের আয়ুও অন্যদের তুলনায় কম হয়। এবার এত সমস্যার মধ্যেই মিলল নয়া বিপাকের খোঁজ।
কী বলছে গবেষণা?
গবেষকদের কথায়, এই রোগের বিশদ তথ্য সংগ্রহ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি রাজ্যে সমীক্ষা চালানো হয়। তাতেই উঠে এসেছে, শিশুদের পারিবারিক স্বচ্ছলতার দিকটি। আমেরিকান সোসাইটি অব হেমাটোলজির বার্ষিক সম্মেলনে এই রিপোর্ট পেশ করা হয়েছিল।
তাহলে কী করণীয়?
গবেষকদের কথায়, রোগীদের সুস্থ রাখতে স্বাস্থ্যব্যবস্থা আরও মজবুত করতে হবে। বলা হয়েছে, এই রোগীদের মধ্যে অধিকাংশই এমন স্থানে থাকেন, যেখান থেকে যাতায়াতের ব্যবস্থা তেমন উন্নত নয়। সেই সব জায়গায় জনস্বাস্থ্য আধিকারিকদেরই পৌঁছে যেতে হবে। পাশাপাশি রোগীদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জাম।
চিকিৎসা ব্যবস্থাও পিছিয়ে
খরচের কারণে বেশিরভাগ রোগীরাই ঠিকমতো চিকিৎসা পাচ্ছেন না। তার উপর বাধ সাধছে চিকিৎসার নিত্যনতুন সমস্যা। সম্প্রতি সেন্টার অব ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন অর্থাৎ সিডিসি-এর তরফ থেকে একটি ড্রাগ অ্যাপ্রুভ করা হয়। কিন্তু সেটি দিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলে প্রায় ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ রয়েছে। যে কারণে বহু চিকিৎসকই পেসক্রিপশনে লিখতে পারছেন না সেই ওষুধ।
আরও পড়ুন: Diabetes tips: সুগার কবজায় থাকবে সহজেই ! ২০২৪-এ ৫ টিপসই হোক আপনার পাখির চোখ
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )