(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Tongue color : বাচ্চার জিভে স্ট্রবেরির মতো লাল নাকি ফ্যাকাসে হয়েছে রং ! স্বাদগ্রন্থিই বলবে শরীরের হাল হকিকত
Colors of an unhealthy tongue : ফুসফুস, হার্ট থেকে পাচনতন্ত্রের সমস্যা সবই কিছুটা হলেও আন্দাজ করে নেওয়া যায় কী অসুখ হতে পারে। শুধু ছোটখাটো অসুখ নয়, থাইরয়েড বা ক্যান্সারের ইঙ্গিতও মেলে জিভ থেকে।
কলকাতা : একরত্তি খুদে। এখনও তেমন কথা ফোটেনি। আবার কথা ফুটলেও সে হয়ত এখনও নিজের কষ্ট বোঝাতে পারে না। ডাক্তারবাবুর কাছে নিয়ে গেলে প্রথমেই জিভ দেখতে চান ডাক্তারবাবু। কেন ? জিভ কি শরীরের অন্যান্য অঙ্গের হয়েও কথা বলে ? শিশুদের ক্ষেত্রেও জিভ দেখে অনেক অসুখ সম্পর্কে ধারণা করে নেন চিকিৎসকরা। ফুসফুস, হার্ট থেকে পাচনতন্ত্রের সমস্যা সবই কিছুটা হলেও আন্দাজ করে নেওয়া যায় কী অসুখ হতে পারে। শুধু ছোটখাটো অসুখ নয়, থাইরয়েড বা ক্যান্সারের ইঙ্গিতও মেলে জিভ থেকে। এই বিষয়ে বিস্তারিত জানালেন , আলোচনায় শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জয়দেব রায় ( professor and head of pediatrics, ICH, Kolkata) ।
পুষ্টির অভাব ( Nutrition Deficiency ) : শরীরে পুষ্টির অভাব ঘটলে জিভেও তার প্রতিফলন হয়। জিভ হয়ে যায় ফ্যাকাসে গোলাপি।
কাওয়াসাকি ডিসিজ (kawasaki disease) : স্ট্রবেরির মতো লাল হয়ে গিয়েছে জিভ ? আর তাতে দেখা গিয়েছে খোঁচা খোঁচা অ্যাপিয়ারেন্স? একে ডাক্তারি ভাষায় স্ট্রবেরি টাং বা strawberry tongue বলা হয়ে থাকে। ঠিক স্ট্রবেরির গায়ের মতোই দেখতে লাগে জিভ। এটি কিন্তু কাওয়াসাকি ডিসিজের লক্ষণ হতে পারে।
হার্ট বা ফুসফুসের অসুখ ( Heart & Lung Disease ) : শিশু যদি হার্ট বা ফুসফুসের অসুখে আক্রান্ত হয়, তাহলে তার ছাপ পড়ে জিভেও (Cyanosis is the change of body tissue color to a bluish-purple) । দেখা যায় জিভের রং বদলে হয়েছে নীল বা নীলচে। অনেক সময় দেখে কালচেও মনে হতে পারে। এই জিভ নীল হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে সায়নোসিস বলা হয় ।
জলশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন ( Symptoms of dehydration ) : বাচ্চাদের পেটের অসুখ বা বমির জন্য শরীর থেকে জল বেরিয়েও যায় অনেকটাই। এর ফলে জিভ শুকিয়ে যায়। ডাক্তাররা জিভের এই শুষ্কতা দেখই আন্দাজ করতে পারেন শিশুর ডিহাইড্রেশনের হয়ে থাকতে পারে।
রক্তাল্পতা (Anemia) : শরীরের রক্তে লোহিত কণিকা কমে গেলে তাও ধরা পড়ে যায় জিভের রঙে। ছোট বাচ্চা লালচে গোলাপি জিভের রং যদি হঠাৎ করে ফ্যাকাসে হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে শিশুটির অ্যানিমিয়া হয়ে থাকতে পারে।
ছত্রাকের সংক্রমণ ( Fungal Infection) : শিশু যদি ফাংগাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হন, তাহলে জিভে সাদা আস্তরণ পড়ে যায়।
লিভারের সমস্যা ( Liver Disease ): লিভারের সমস্যা, জন্ডিস বা কোনও রকমের পাচনতন্ত্রের সংস্যার ইঙ্গিত দেয় হলুদ জিহ্বা।
ডাউন সিনড্রোম (Down syndrome): অনেক জিনগত অসুখের লক্ষণও ধরা পড়ে জিভে । তা যদি বড় হয়ে যায় বা বেরিয়ে আসে ('scrotal tongue' or 'lingua plicata'.), তাহলে তা ডাউন সিনড্রোমের লক্ষণও হতে পারে
থাইরয়েড ( Thyroid ) : জিভ যদি বড় হয়ে যায় স্বাভাবিকের তুলনায়, তখন তা থাইরয়েডের লক্ষণও হতে পারে । তাকে ডাক্তারি পরিভাষায় বলে, ম্যাক্রোগ্লসিয়া (Macroglossia )। এটি হল জিভের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ( the abnormal enlargement of the tongue)
এছাড়াও, ত্বকের বিভিন্ন রোগের লক্ষণও জিভে প্রতিফলিত হয়। ভিটামিনের অভাবে জিভ লাল আভা নেয়। ভিটামিন বি- এর অভাবে জিভ লাল হতে পারে। ফুসকুড়িও বের হয়। জ্বর এলেও জেভ লাল হওয়ার প্রবণতা থাকে। এভাবেই শিশুর জিভই বলে দেয়, তার শরীর খারাপ হয়েছে কিনা ।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )