China Virus : চিনে নতুন ভাইরাস আতঙ্ক, ভারতের জন্যও 'থ্রেট'? কী বলছে ভারত ?
৫ বছর আগে, ২০২০ সালে এভাবেই চিন থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল কোভিড-১৯। আবারও কি ঘটতে পারে এমনটা ? দেশ তৈরি তো ?
নয়াদিল্লি : চিনে বাড়ছে ভাইরাস - আতঙ্ক। শীতরে মুখে সে-দেশে নেকি একাধিক ভাইরাস বিস্তার করেছে থাবা। এর মধ্যে HMPV র বাড়বাড়ন্ত সবচেয়ে বেশি বলে জানা গিয়েছে। ভাইরাল ভিডিওয় দাবি করা হয়েছে, এই ভাইরাস নাকি বেশ সংক্রামক। ইতিমধ্যেই নাকি আক্রান্ত বহু শিশু ও কিশোর। এই খবর সামনে আসতেই সকলের মনে ফিরছে কোভিড - স্মৃতি। ২০১৯ সালে এই চিনেরই ইউহান প্রদেশে প্রথম হানা দেয় কোভিড। সেখান থেকেই ছড়ায় কোভিড । তারপরের ইতিহাস সবারই জানা। তাই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সকলের মনে। এরই মধ্যে এইচএমপিভি নিয়ে বার্তা দিল ভারতের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান Directorate General of Health Services (DGHS) ।
৫ বছর আগে, ২০২০ সালে এভাবেই চিন থেকে ছড়িয়ে পড়েছিল কোভিড-১৯। গোটা বিশ্বে চলেছিল মৃত্য মিছিল। । লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল অর্থনীতি। এই নিয়ে অবশ্য চিন এখনও তেমন কোনও আশঙ্কার কথা শোনায়নি। সংবাদমাধ্যমে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং জানান, শীত ও বসন্তে শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ বাড়ে। সকলকে চিন নাগরিক ও পর্যটকদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন। চিনে ভ্রমণ করা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
আরও পড়ুন : ফিরছে আতঙ্কের দিন? চিনে ভাইরাস-দাপটে ঘায়েল ফুসফুস, 'ফের মৃত্যুমিছিল', দাবি ভাইরাল ভিডিওয়
কী বলছে ভারত ?
Directorate General of Health Services (DGHS) এর চিকিৎসক অতুল গোয়েল জানিয়েছেন, চিন থেকে একটি মেটাপনিউমোভাইরাস প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে খবর এসেছে। মেটাপনিউমোভাইরাস অন্য যে কোনও শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ সৃষ্টিকারী ভাইরাসের মতোই। উপসর্গ সর্দি, কাশি। খুব বয়স্ক এবং খুব অল্প বয়সীদের মধ্যে ফ্লু-এর মতো উপসর্গ সৃষ্টি করতে পারে। তবে গত ডিসেম্বরে এই ভাইরাসের কোনও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধির খবর পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, যাইহোক শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি ঘটায়,তার জন্য হাসপাতালগুলিও তৈরি থাকে। যদি কারো কাশি এবং সর্দি থাকে, তাহলে বেশি লোকের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। কাশি বা হাঁচি হলে আলাদা রুমা ব্যবহার করতে হবে। সর্দি বা জ্বর হলে প্রয়োজনীয় সাধারণ ওষুধ খেতে হবে। এছাড়া, বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (এনসিডিসি)পরিস্থিতি নজরে রাখছে বলে জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে।