Panic Attack: অতিরিক্ত স্ট্রেসের ফলে প্রায়শই প্যানিক অ্যাটাক? নিজেকে সামলাবেন কীভাবে
Mental Health: আচমকা প্যানিক অ্যাটাক হলে, মূলত তেমনই হয়ে থাকে, নিজেকে সামলানোর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি কী কী করতে পারেন সেটা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
Panic Attack: আমরা বিভিন্ন কারণে মানসিক অবসাদে (Mental Depression) থাকতে পারি। অনেক সময়েই আমাদের মন খারাপ হয়। মানসিক ভাবে নানা কারণে আমরা বিপর্যস্ত (Menta Health) হয়ে পড়ি। আর এই সমস্যা বাড়তে থাকলে অনেকক্ষেত্রেই প্যানিক অ্যাটাক হতে পারে। এই প্যানিক অ্যাটাক নিয়মিত হতে থাকলে একাধিক শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই শুরুতেই অবহেলা না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আচমকা প্যানিক অ্যাটাক হলে, মূলত তেমনই হয়ে থাকে, নিজেকে সামলানোর জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে আপনি কী কী করতে পারেন সেটা একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
- প্যানিক অ্যাটাকের ক্ষেত্রে মানসিক চাপ কমানোর জন্য সবার আগে ব্রিদিং একসারসাইজ করুন। শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করলে সাময়িক ভাবে আপনার মন শান্ত হবে, আপনি স্বস্তি পাবেন।
- প্যানিক অ্যাটাক হলে আশপাশের সবকিছুই অসহনীয় লাগে। সর্বোপরি আশপাশের মানুষজনকেও বিরক্তিকর বলে মনে হয়। এইসব ক্ষেত্রে কিছুক্ষণ চুপ করে একা বসে থাকুন। বদ্ধ জায়গা থেকে বেরিয়ে একটু খোলামেলা জায়গাতেও বসতে পারেন।
- আচমকা প্যানিক অ্যাটাক হলে নিজের মনকে যেভাবেই হোক শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। প্রতি মুহুর্তেই নিজেকে বোঝান যে আপনি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবেন, স্বস্তি পাবেন।
- প্যানিক অ্যাটাক হলে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নিয়মিত কাউন্সেলিং করা প্রয়োজন। তাহলে সঠিক সময়ে উপকার পাবেন আপনি। প্যানিক অ্যাটাক হলে পেশী শিথিল করার একসারসাইজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে উপকার পাবেন।
- প্যানিক অ্যাটাক হলে সেই সময়ের জন্য এমন কোনও জায়গায় গিয়ে বসতে পারেন যেখানে পরিবেশ শান্ত। কিছুক্ষণ চুপ করে নিজের সঙ্গে সময় কাটানো প্রয়োজন।
- যে বিষয় নিয়ে প্যানিক অ্যাটাক আপনার হচ্ছে সেই প্রসঙ্গে কাউন্সেলরের সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলুন। তাহলে সমস্যার সমাধান সম্ভব।
মন শান্ত রাখার জন্য নিয়মিত ভাবে মেডিটেশন অর্থাৎ ধ্যান করতে পারেন। প্রথমে যে অনেকক্ষণ সময় ধরে আপনি ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারবেন তা নয়। তবে ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে। প্রথমে চেষ্টা করুন দিনে অন্তত ৫ থেকে ১০ মিনিট মেডিটেশন করতে। ক্রমাগত অভ্যাস করতে থাকলে এই সময়সীমা বেড়ে যাবে। মন ভাল রাখতে চাইলে কেন মন খারাপ সেই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। আর এটা একমাত্র সম্ভব থেরাপিস্টের কাছে। তাই প্যানিক অ্যাটাক, মানসিক অবসাদ এই জাতীয় জটিল সমস্যা এড়াতে চাইলে আগে থেকেই সতর্ক হোন। সামান্য সমস্যা হচ্ছে বুঝলেও কাউন্সেলিং করানো প্রয়োজন।
আরও পড়ুন- ব্রেকফাস্ট স্কিপ করছেন? নিয়মিত লাঞ্চ-ডিনারেও অনিয়ম? দেখা দিতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )