Pancreatic Cancer : ধরা পড়তেই বড্ড দেরি হয়ে যায়! পেট ব্যথা ছাড়াও এই সব লক্ষণে চিনুন অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার
কর্কটরোগের থাবা ক্রমেই হচ্ছে চওড়া। চিকিৎসাশাস্ত্রের অগ্রগতি হলেও কর্কটরোগ এখনও বহুক্ষেত্রেই মারণ-অসুখ।

বদলাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস । কাজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দৈনন্দিন জীবনযাত্রাতেও হয়েছে পরিবর্তন। এর ফলে নানা রোগ বালাইও বাসা বাঁধছে। পরিসংখ্যান বলছে, ক্যান্সার, স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বিপজ্জনক হল ক্যান্সার। কর্কটরোগের থাবা ক্রমেই হচ্ছে চওড়া। চিকিৎসাশাস্ত্রের অগ্রগতি হলেও কর্কটরোগ এখনও বহুক্ষেত্রেই মারণ-অসুখ।
পরিসংখ্যান বলছে, অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার নীরব ঘাতক হিসাবে কাজ করে। এই অসুখ অত্যন্ত বিপজ্জনক এবং এই ক্যান্সার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এই রোগ সাধারণত প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। এর প্রাথমিক লক্ষণগুলিও স্পষ্ট নয়।
অগ্ন্যাশয়ে ক্যান্সারে পেটে ব্যথা, জন্ডিস এবং হঠাৎ ওজন হ্রাস ঘটতে পারে। তবে, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে শরীরের অন্যান্য অংশে, বিশেষ করে পায়ে, কিছু সমস্যা প্রাথমিক সতর্কতা লক্ষণ হতে পারে। আসুন আমরা প্রাথমিকভাবে কী কী লক্ষণগুলি দেখতে পাই।
হঠাৎ ওজন হ্রাস এবং ক্ষুধা হ্রাস: চেষ্টা না করেই ওজন হ্রাস এবং ক্ষুধা হ্রাস।
জন্ডিস: ত্বক এবং চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া, যার সাথে ত্বকে চুলকানি হতে পারে।
পেট বা পিঠে ব্যথা: পেটের উপরের অংশে বা পিঠে ব্যথা , খাওয়ার পরে আরও বাড়ে
হজমের সমস্যা: বমি বমি ভাব, বমি, পেট ফাঁপা, বদহজম।
মল এবং প্রস্রাবের পরিবর্তন: গাঢ় রঙের প্রস্রাব এবং হালকা রঙের বা তৈলাক্ত, দুর্গন্ধযুক্ত মল।
ক্লান্তি: সারাদিন অস্বাভাবিক ক্লান্তি এবং দুর্বল বোধ করা।
ডায়াবেটিসের সূত্রপাত: নতুন করে ডায়াবেটিস ধরা পড়ে।
দীর্ঘস্থায়ী বা ব্যাখ্যাতীত পায়ে ব্যথা গভীর শিরা থ্রম্বোসিসের লক্ষণ হতে পারে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার শরীরের রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, যা DVT-এর ঝুঁকি বাড়ায়। এই ধরনের ব্যথাকে উপেক্ষা করবেন না, কারণ এটি স্নায়ুর উপর চাপ, ফোলাভাব বাড়াতে পারে। রক্ত প্রবাহে বাধার কারণে একটি গুরুতর সমস্যা হতে পারে।
অন্যান্য লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে এক বা উভয় পায়ে হঠাৎ, ব্যাখ্যাতীত ফোলাভাব, যা উদ্বেগের কারণ হতে পারে। যদি পায়ের ফোলা ব্যথা, লালভাব বা উষ্ণতা লক্ষিত হয়। অবিলম্বে একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিনয
অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার প্রায়শই দেরিতে ধরা পড়ে, যখন রোগটি বেশি ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক লক্ষণগুলি দেখে ডাক্তারের কাছে গেলে ঠিক সময় রোগ ধরা পড়তে পারে। সময়মত চিকিৎসা সেরে উঠতে সাহায্য করবে।






















