Samosas with Serial Numbers: আজব কান্ড! সিঙাড়ার গায়ে লেখা ক্রমিক সংখ্যা!
খেতে ইচ্ছে হয়েছে বলে অনলাইনে সিঙাড়ার অর্ডার দিয়েছিলেন। ডেলিভারি হওয়ার পর প্যাকেট খুলে যা দেখলেন, তাতে তো তাঁর চক্ষু চড়কগাছ।
বেঙ্গালুরু : সিঙাড়া (Samosa) খেতে প্রায় সকলেই পছন্দ করেন। আর তার উপর এখন আবার শেষ বর্ষার মরশুম চলছে। তাই সন্ধেবেলা সিঙাড়া সহযোগে খাওয়াটা মন্দ হবে না। তাই হয় বাড়িতেই বানিয়ে ফেললেন নাহলে দোকান থেকে কিনে আসলেন। বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তিও তাই করেছিলেন। খেতে ইচ্ছে হয়েছে বলে অনলাইনে সিঙাড়ার অর্ডার দিয়েছিলেন। ডেলিভারি হওয়ার পর প্যাকেট খুলে যা দেখলেন, তাতে তো তাঁর চক্ষু চড়কগাছ। সিঙাড়ার গায়ে যেন কী সব লেখা! ভালো করে তাকিয়ে দেখে বুঝলেন সিঙাড়ার গায়ে ক্রমিক সংখ্যা লেখা রয়েছে। ওই ব্যক্তিও আর দেরি না করে সিঙাড়ায় কামড় বসানোর আগে টুক করে ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিলেন। আর পোস্ট করা মাত্র সেই ছবি ভাইরাল। সিঙাড়ার গায়ে সিরিয়াল নম্বর লেখা! এমন ছবি কেউ মিস করে নাকি!
ঘটনাটি ঘটেছে নীতিন মিশ্র নামে বেঙ্গালুরুর এক বাসিন্দার সঙ্গে। বেঙ্গালুরুর এক বিখ্যাত স্টার্টার আপ কোম্পানিতেই তিনি সিঙাড়ার অর্ডার দিয়েছিলেন। আর ডেলিভারিতে তিনিই এমন ক্রমিক সংখ্যা লেখা সিঙাড়া পেয়েছেন। এমন আজব কান্ড তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার না করে পারেননি। সিঙাড়ার ছবি তুলে নিজের টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট করে দিলেন। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখলেন, 'অর্ডার দিয়ে সিঙাড়ায় সিরিয়াল নম্বর পেলাম। সবাই আমার হালুইকরের থেকে দূরে থাকো।' আর নীতিন মিশ্রর এই টুইট মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। তবে, সিঙাড়ার ছবি পোস্ট করার পর আজব আজব মেসেজ পেতে থাকেন তিনি। যেখানে অনেকেই তাঁকে সিঙাড়ার অর্ডার দিয়েছেন। এমন অবস্থা দেখে তিনি ফের আর একটি টুইট করেন। যেখানে তিনি যে স্টার্টারআপ কোম্পানির থেকে সিঙাড়া অর্ডার করেছিলেন, তাদের ট্যাগ করে দিতে ভোলেননি। তিনি লিখেছেন, 'দয়া করে আমাকে সিঙাড়ার অর্ডার পাঠানো বন্ধ করুন। আপনার অর্ডার সামোসা পার্টিকে করুন।' প্রসঙ্গত, সামসো পার্টি বেঙ্গালুরুর একটি জনপ্রিয় স্টার্টারআপ কোম্পানি।