Tuberculosis: টিবি চিকিৎসায় নয়া অ্যান্টিবায়োটিকের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা ! কীভাবে কাজ করে এটি
New antibiotic for Tuberculosis: টিবি রোগের চিকিৎসায় নয়া অ্যান্টিবায়োটিকের খোঁজ পেলেন বিজ্ঞানীরা। প্রচলিত ওষুধগুলির তুলনায় অনেকটাই আলাদা এই অ্যান্টিবায়োটিক। এটি কীভাবে কাজ করে তাও জানা গেল।
কলকাতা: যক্ষ্মা বা টিউবারকিউলোসিসের (tuberculosis) সঙ্গে লড়াই করবে এবার নতুন ধরনের এক অ্যান্টিবায়োটিক (TB new antibiotic)। জার্মানি ও ফ্রান্সের বিজ্ঞানীদের যৌথ উদ্যোগে আবিষ্কৃত হল সেই ওষুধ। একটি বিশেষ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের খোঁজ মিলেছে গবেষণায়। এটি ব্যাকটেরিয়া বা প্যাথোজেনকে দুর্বল করে দেয়। ফলে রোগীর শরীরে মারাত্মক আকার নিতে পারে না যক্ষ্মার বা টিবি-এর ব্যাকটেরিয়া মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস।
কী কাজ করে এই ওষুধ?
অনেক সময় চিকিৎসকের পেসক্রিপশনে থাকা সাধারণ ওষুধ গা-সওয়া হয়ে যায় ব্যাকটেরিয়াগুলির (TB treatment)।এতে ওষুধটি খেলে রোগটি আর সারতে চায় না। চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায় একে ড্রাগ রেজ়িস্ট্যান্স বলা হয়। গবেষকদের কথায়, এই নির্দিষ্ট অ্যান্টিবায়োটিক এমন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গেও লড়াই করতে পারে। সেল কেমিকাল বায়োলজিতে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে।
টিউবারকিউলোসিস বা যক্ষ্মা রোগটি আদতে কী?
টিউবারকিউলোসিস বা যক্ষ্মা আদতে ফুসফুসের একটি সংক্রমণ। পরিসংখ্যান বলছে, রোগীমৃত্যু ও আক্রান্তের নিরিখে কোভিডের পরেই রয়েছে যক্ষ্মা বা টিবি। পশ্চিম বিশ্বে রোগে আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও ভারতে তা নয়। বরং ভারতে এখনও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক। এই রোগ দূরীকরণে সরকারি প্রকল্পও রয়েছে বর্তমান সরকারের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সালে রোগী মৃত্যুর নিরিখে কোভিডের পরেই ছিল এই মারণরোগ। অন্যদিকে, প্রতি বছর সারা বিশ্বে ১ কোটি করে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন।
কারা বেশি বিপদে রয়েছে ?
গবেষকদের কথায়, পূর্ব ইউরোপ ও এশিয়াতেই এই রোগের প্রকোপ বেশি। শুধু তাই নয়, এই অঞ্চলগুলিতে মাল্টিড্রাগ রেজ়িস্ট্যান্ট ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও বেশি। অর্থাৎ বেশিরভাগ ওষুধই রোগ সারাতে পারে না। তাই এই অঞ্চলে নয়া আবিষ্কৃত ওষুধ বেশি কার্যকরী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
কীভাবে কাজ করে এই নয়া অ্যান্টিবায়োটিক ?
গবেষকদের কথায়, এই অ্যান্টিবায়োটিক মলিকিউল বা অণুগুলির কাজ করার কায়দা প্রচলিত (conventional) অ্যান্টিবায়োটিকের থেকে অনেকটাই আলাদা। এটি ব্যাকটেরিয়ার মূল বিষাক্ত অঞ্চলকে (virulence factor) চিহ্নিত করে। তার পর তাকে নিস্ক্রিয় করে দেয়। টিবি রোগের চিকিৎসায় ইথিওনামাইড নামে একটি বিশেষ ওষুধ দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার করেন চিকিৎসকরা। প্রসঙ্গত, এই ওষুধের মনোঅক্সিজেনেসিস উৎসেচককে বেশি সক্রিয় করে নয়া অ্যান্টিবায়োটিকটি। ফলে রোগের মোকাবিলায় আরও জোরদার হয়ে ওঠে ইথিওনামাইড।
আরও পড়ুন: Diabetes tips: সুগার নিয়ন্ত্রণে সহজেই ! ২০২৪-এ ৫ টিপসই হোক আপনার পাখির চোখ
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )