Duarsini Tour Guide: ‘এই শহর থেকে আরও অনেক দূরে’ চলে যেতেই পারেন পুরুলিয়ার এই অফবিটে
Duarsini Purulia Offbeat Tour Guide: রোজকার রুটিন থেকে এক-আধদিন একটু পালিয়ে যেতে কার না ইচ্ছে করে। তাই পালিয়ে যেতেই পারেন পুরুলিয়ার এই অফবিট ডেস্টিনেশনে।
Duarsini Purulia Offbeat Tour Guide: আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে চলেছে বর্ষা। গ্রীষ্মের এই দাবদাহ থেকে মুক্তি পাবে সবাই। এই বর্ষার মরসুমে পাহাড়ের সৌন্দর্য বেশ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। তাই বৃষ্টির সময় শুরু হলেই ঘুরে আসতে পারেন পুরুলিয়ার এই অফবিট স্থান থেকে। পুরুলিয়ার বান্দোয়ান থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত দুয়ারসিনি (Duarsini Tour Guide)। সেখানেই কাটিয়ে আসতে পারেন উইকেন্ডের ছুটি।
দুয়ারসিনির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য
দুয়ারসিনি (Duarsini Tour) পুরুলিয়ার কংসাবতী নদীর তীরে একটি গাছগাছালি পূর্ণ এলাকা। বনের মধ্যে নিরিবিলি এই স্থান অফবিট ডেস্টিনেশন হিসেবে অনেকেরই প্রথম পছন্দের তালিকায় থাকবে। কংসাবতী নদীর দক্ষিণে কুচিয়া বিটের অন্তর্গত দুয়ারসিনি। এখানে পাহাড়গুলি আকারে ছোট ও সবুজে ঘেরা। পাশেই আদিবাসীদের গ্রাম। ফলে সবটা মিলিয়ে মনে হবে অন্য এক পৃথিবীর বুকে এসে পড়েছেন।
ঘুরতে যাওয়ার সেরা সময়
বছরের সবসময়ই দুয়ারসিনির আবহাওয়া বেশ মনোরম থাকে। তবে জুলাই অগস্ট মাস থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত সময়টি দুয়ারসিনি ভ্রমণের সেরা সময়।
কীভাবে যাবেন
- হাওড়া থেকে প্রথমে ট্রেনে করে পুরুলিয়া যেতে হবে। সেখান থেকে বাসে করে পৌঁছে যেতে পারেন দুয়ারসিনি (Duarsini Travel)।
- কলকাতা থেকে বেশ কিছু বাস ছাড়ে। যা সরাসরি বান্দোয়ান যায়। সেখান থেকে গাড়ি বুক করে যেতে পারেন। বাসের করেও যাওয়া যেতে পারে।
- কলকাতা থেকে গাড়ি করে যেতে হলে খড়গপুর হয়ে পুুরুলিয়া, বান্দোয়ানের উপর দিয়ে গিয়ে পৌঁছাতে হবে দুয়ারসিনি।
কোথায় থাকবেন
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে দুয়ারসিনিকে ইকো টুরিজমের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের তরফে এখানে বেশ কয়েকটি কটেজ রয়েছে। দুয়ারসিনি প্রকৃত ভ্রমণ কেন্দ্রের ওই কটেজে থাকতে পারেন। কটেজ বুক করে নিতে হবে তার জন্য। যোগাযোগ করতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পর্যটন বিভাগের সাইটে গিয়ে হেল্পলাইনে ফোন করতে হবে।
আকর্ষণীয় বিভিন্ন স্থান
দুয়ারসিনি কথাটি বাংলা অর্থ দ্বাররক্ষক ঠাকুর। মনে করা হয়, প্রাচীনকালে লঙ্কার রাজা রাবণ এখানে স্বর্গের সিঁড়ি প্রস্তুত করতে চেয়েছিলেন। আবার এখানকার লোকদেবতাদের সঙ্গে বৌদ্ধিক ভাবনাও জড়িয়ে রয়েছে। মনে করা হয়, বৌদ্ধতন্ত্রের কিছুটা প্রভাব পড়েছিল এই অঞ্চলে। আকর্ষণীয় স্থানের মধ্যে এখানে রয়েছে বিভিন্ন উপজাতি গ্রাম। সাঁওতাল, মুন্ডা, শরব, খেরিয়ারদের গ্রাম ঘোরার সুযোগ রয়েছে। এছাড়াও জঙ্গলে, নেকড়ে, হাতি, ভাল্লুক, বুনো শুয়োরের বাস। রয়েছে সাতগুরুং হ্রদের অপরূপ সৌন্দর্যও। যারা রোজকার কাজকর্মে বাঁধা রুটিন থেকে একটু মুক্তি পেতে চান, তারা চাইলেই স্বাদ নিতে পারেন এই প্রকৃতির।
তথ্যসূত্র - পশ্চিমবঙ্গ সরকার পর্যটন দফতর
আরও পড়ুন - Travel News: গোটা বিশ্বের আকর্ষণ ভুটানের এই উৎসব, একবার প্রত্যক্ষ না করলে হতে পারে আপসোস
আপনার পছন্দের খবর এবার হোয়াটসঅ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে।