(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
World Nature Conservation Day 2021: বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবসে এই কাজগুলো করা শুরু করুন
এক ঝলকে দেখে নিন বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবসে কী কী করা উচিত। এমন নয়, এগুলো একদিনই করবেন। একটা অভ্যাস করে ফেলুন শুধু আজকের এই বিশেষ দিন থেকে।
কলকাতা : গত প্রায় দেড়টা বছর ধরে করোনা অতিমারিতে চোখের সামনে দেশের বা বিশ্বের লাখ-লাখ লোককে প্রাণ হারাতে দেখলেন। শুনলেন এমন কিছু শব্দ, যেগুলো আগে হয়তো আমাদের জীবনে ছিল না। ধরুন না লকডাউন শব্দটা। সত্যিই তো লকডাউনই বলুন বা কোয়ারেন্টিন, এই ধরনের শব্দগুলোর সঙ্গে সাধারণ মানুষের তেমন কোনও পরিচয় ছিল না। কিন্তু গত দেড় বছরে করোনার প্রকোপ আমাদের সবকিছু শিখিয়ে দিল। হয়তো মনে মনে বাড়িতে বসে ভেবেছেন যে, আমরা প্রকৃতিকে বড় অবহেলা করি। যে প্রকৃতির যত্নতে আমরা ভাল থাকি সেই প্রকৃতিকে অযত্নে আর অবহেলায় আমরা তাকে বড় কষ্ট দিয়েছি। তাই বোধহয় প্রকৃতিও আজ আমাদের উপর বিরূপ। আমাদের মাথায় রাখা উচিত, আমরা প্রকৃতিকে ভাল রাখলে তবেই একটা স্বস্থ্যকর বিশ্ব গড়ে উঠবে। ভাবছেন, কেন প্রকৃতি নিয়ে এত কথা বলছি? কারণ, আজ ২৮ জুলাই ২০২১। আজকের দিনটা বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবস।
এবার প্রশ্নটা হলো, আপনি একা এত বড় পৃথিবীর প্রকৃতিকে কীভাবে ভাল রাখবেন? না, আপনাকে একা কিছু করতে হবে না। আপনি, আমি, আরেকজন প্রত্যেকে যদি নিজের কর্তব্য পালন করি, তাহলেই প্রকৃতিকে ভাল রাখতে পারি। আর এই জন্য আপনাকে অনেক-অনেক টাকাও খরচ করতে হবে না। এক ঝলকে দেখে নিন বিশ্ব প্রকৃতি সংরক্ষণ দিবসে কী কী করা উচিত। এমন নয়, এগুলো একদিনই করবেন। একটা অভ্যাস করে ফেলুন শুধু আজকের এই বিশেষ দিন থেকে।
১) প্রকৃতিকে ভাল রাখতে সবার আগে আমাদের প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে। প্লাস্টিক ব্যবহারের এই স্বভাব না বদলাতে পারলে, আমাদের প্রকৃতি কিছুতেই ভাল থাকতে পারবে না। বাড়িতে হাত মোছার জন্যও টিস্যুর বদলে কাপড়ের তোয়ালে ব্যবহার করুন।
২) প্রকৃতিকে বাঁচাতে বদলাতে হবে আমাদের খাদ্যাভ্যাসও। প্রকৃতিকে ধ্বংস করে যা, এমন কিছু খাওয়ার পিছনে না ছুটে বরং আমাদের উচিত যে, আমাদের আশেপাশের জমিতে যে ধরনের সব্জি পাওয়া যায় সেগুলো খাওয়া।
৩) বিদ্যুত শক্তি বাঁচান। আপনার বাড়িতে এমন আলো জ্বালান যা কম বিদ্যুৎ খরচ করে। এক্ষেত্রে আপনি এলইডি বাল্বও ব্যবহার করতে পারেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। আর আপনার এমন অভ্যাসের ফলে শুধু প্রকৃতিই ভাল থাকবে তা নয়। আপনার বিদ্যুতের খরচও কম হবে।
৪) আপনার বাড়িতে বর্জ্য যতটা কম জমবে, ততই প্রকৃতির জন্য ভাল। তবে, ধরুন শাকসব্জির পড়ে থাকা টুকরো কিংবা খোসা অথবা চা পাতা কিংবা ডিমের খোলা এই ধরনের জিনিস বাড়ির পিছনের বাগানে মাটির নিচে দিয়ে দিন। তাহলে তা সারের কাজ করবে।
৫) আপনার বাড়িতে হয়তো গাছ রয়েছে। আবার না-ও থাকতে পারে। প্রকৃতিকে ভাল রাখতে বৃক্ষরোপণ অত্যন্ত জরুরি। বাড়ির সামনের জমিতে একটি গাছ অন্তত লাগান। প্রকৃতিকে ভাল রাখতে গেলে সত্যিই আমাদের গাছের যত্ন আরও বেশি করে নিতে হবে।
৬) আপনি মাটি উর্বর করেছেন। গাছ লাগিয়েছেন। প্রকৃতিকে ভাল রাখতে পাখিদেরও তো ভাল করে বাঁচতে দিতে হবে। আপনার বাড়ির সামনের গাছে যখন পাখিরা এসে বসবে, কী ভাল লাগবে না আপনার? এতে আপনার মন ভাল থাকার পাশাপাশি প্রকৃতিও য়ে ভাল রয়েছে তা বোঝার সেরা উপায়। আর পারলে আপনার ব্যালকনিতে পাখিদের জন্য একটু জল বা খাবার রাখুন। এই কাজে বাড়ির বাচ্চারাও আপনাকে উৎসাহী হয়ে সাহায্য করবে।
৭) বাড়িতে অকাজে লাগা জিনিসগুলো এদিক ওদিকে ছুঁড়ে ফেলে না দিয়ে সেগুলো থেকে বাড়ি সাজান। যেমন ধরুন আপনার বাড়ির জলের বোতলগুলো। ওগুলোতেই ফের নতুন করে ডিজাইন করে গাছ লাগান। দেখতেও সুন্দর লাগবে। আমাদের প্রকৃতিও ভাল থাকবে।
আপনার মতো সকলেই যদি নিজের বাড়ি থেকে এই কাজগুলো করা শুরু করে, তাহলে সবাই মিলে আমরা আমাদের প্রকৃতিকে একটু ভাল রাখতে পারবো। আর প্রকৃতিও আমাদের ভালোবাসা উজাড় করে দেবে।