করোনাভাইরাস: জাপানে ‘কোয়ারান্টিনে’ থাকা মার্কিন ক্রুজ জাহাজে কর্মরত ভারতীয় কর্মীদের দেশে ফেরা নিয়ে সংশয়
সংশয়ে জাপানে আটকে থাকা মার্কিন জাহাজের বাঙালি কর্মী বিনয় সরকার৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ইয়োকোহামায় কোয়ারেন্টাইনে ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’২০ ফেব্রুয়ারি ফেরার টিকিট থাকলেও, নতুন সংক্রমণের ফলে তা সংশয়ে
টোকিও: ৮ দিন পরেও দেশে ফেরা নিয়ে সংশয়ে জাপানে আটকে থাকা মার্কিন জাহাজের বাঙালি কর্মী। নোভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমণের আশঙ্কায় গত ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জাপানের ইয়োকোহামায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে মার্কিন জাহাজ ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’।
ওই জাহাজেই কাজ করেন উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার হাতিপা গ্রামের বাসিন্দা বিনয় সরকার। তাঁর দাবি, ২০ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার টিকিট মিলেছে। কিন্তু গতকালই মুম্বইবাসী দুই জাহাজ কর্মীর শরীরে চিনা ভাইরাসের সংক্রমণ মেলায়, দেশে ফেরা নিয়ে সংশয়ে বিনয়। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কায় তাঁর দেশে ফেরা বাতিল হতে পারে ভেবে উদ্বিগ্ন এ রাজ্যের বাসিন্দা। আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরাও।
প্রসঙ্গত, জাপানে থাকার সময় মার্কিন ক্রুজ জাহাজ ‘ডায়মন্ড প্রিন্সেস’-এ করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে নাবিক ও কর্মীদের মধ্যে। এরপরই, ওই জাহাজকে তার কর্মী সমতে ‘কোয়ারান্টাইন’ বা পৃথকীকরণ করে রাখা হয়। গতকাল, ওই জাহাজে আটক ২ ভারতীয় কর্মীর দেহে নোভেল করোনাভাইরাসের অস্তিত্বের প্রমাণ মেলে। নতুন করে আরও ৪৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের প্রমাণ মিলেছে।
সব মিলিয়ে ওই জাহাজে কর্মরত ১৭৪ জন নোভেল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সকলের পরীক্ষা পজিটিভ এসেছে। এমনকী, ওই জাহাজে আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত কোয়ারান্টাইন অফিসারও এবার নিজেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এই খবর স্বীকার করেছেন জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাতসুনোবু কাতো। আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত ইয়োকোহামা বন্দরে ওই জাহাজকে এক জায়গায় রেখে দেওয়া হয়েছে।