করোনার জের, মার্চের বদলে ২০২১ উচ্চমাধ্যমিক জুনে? মাধ্যমিকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সিলেবাসে কাটছাঁটের ভাবনা
সিলেবাস কমিটির রিপোর্ট দেখে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী...
কলকাতা: করোনার জেরে পিছিয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। মার্চের বদলে উচ্চমাধ্যমিক হতে পারে জুনে। ফেব্রুয়ারিতেই মাধ্যমিক শুরুর ভাবনা। মাধ্যমিকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত সিলেবাসে কাটছাঁটের সম্ভাবনা।
সরকারি স্তরে আলোচনা শুরু সিলেবাস কমিটির। অক্টোবরেই জমা পড়ছে সিলেবাস কমিটির রিপোর্ট। রিপোর্ট দেখে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত, জানালেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
করোনা-আবহে কলেজ বিশ্ববিদ্যালেয়ে শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে ১ নভেম্বর থেকে। দশ মাসেরও কম শিক্ষাবর্ষ। এই প্রেক্ষাপটে মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের ভবিষ্যত্ নিয়ে আলোচনা ও বিকল্প ভাবনা শুরু সরকারি স্তরে।
২০২১ সালে যারা মাধ্যমিক দেবে, তাদের আড়াই মাসের মতো ক্লাস হলেও ২১ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের একদিনও ক্লাস হয়নি স্কুলে।
পাখির চোখ এখন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক। মাধ্যমিকের সময় এক রেখে সিলেবাস কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে। উচ্চমাধ্যমিকে সিলেবাস এক রেখে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
এ বছর মাধ্যমিক শুরু হয় ১৮ ফেব্রুয়ারি। উচ্চমাধ্যমিক হয় ১২ মার্চ থেকে। সূত্রের খবর, সরকারি স্তরে আলোচনায় উঠে এসেছে- ২০২১-এর ফেব্রুয়ারিতে নেওয়া যেতে পারে মাধ্যমিক। সেক্ষত্রে ৩০-৪০ শতাংশ কমানো হতে পারে সিলেবাস।
উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে সিলেবাস অপরিবর্তিত রেখে পিছনো হতে পারে পরীক্ষা। যেহেতু কলেজের প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের শিক্ষাবর্ষ শেষ হচ্ছে অগাস্টে, সেক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিক জুন মাস পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার ভাবনা।
সূত্রের খবর, অক্টোবরের শুরুতে সিলেবাস কমিটির এই সংক্রান্ত সুপারিশ জমা পড়ছে সরকারের কাছে। সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা যাতে না হয়, সেটাই লক্ষ্য। মাধ্যমিকেই সময়ে নিয়ে সিলেবাস কমাতে পারি কি না। উচ্চমাধ্যমিকে সময় পাওয়া যাবে। পরের বছর পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আলোচনা চলছে। শিক্ষামন্ত্রীকে জানিয়ে দেব।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বলেন, আগে রিপোর্ট জমা পড়ুক। আলোচনা চলছে, রিপোর্ট পেলে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
সংকটকালে এই ভাবনায় পড়ুয়ারা খুশি। এক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী জানিয়েছে, আড়াই মাস মাত্র ক্লাস হয়েছে। সবাইতো অনলাইনে পারেনি। সিলেবাস কমালে ভাল হয়। আবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা জানান, একটাও ক্লাস হয়নি, তাই পরীক্ষা পিছোলে ভাল হয়।
করোনা-আবহে প্রায় ৬ মাস স্কুল বন্ধ। কবে খুলবে কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই পরিস্থিতিতে সরকারি স্তরে বড়সড় ঘোষণা শুধু সময়ের অপেক্ষা।