(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
উত্তরপ্রদেশের সোনভদ্রে মিলল ৩,৩৫০ টন সোনার খনি, খননের নিলামপর্ব শুরু শীঘ্রই
খোঁজ পাওয়া সোনার পরিমাণ ভারতের বর্তমান গোল্ড রিজার্ভের পাঁচগুণ!
নয়াদিল্লি: ইউরেকা!
দু’দশক ধরে তন্নতন্ন করে খোঁজ চালানোর পর অবশেষে মাটির নীচে বিশাল সোনার খনির হদিশ পেল জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া (জিএসআই) ও উত্তরপ্রদেশের ডিরেক্টরেট অফ জিওলজি অ্যান্ড মাইনিং। তাও আবার একটি নয়, একসঙ্গে দু-দুটি।
খবরে প্রকাশ, উত্তরপ্রদেশের মাওবাদী-অধ্যুষিত সোনভদ্র জেলায় খোঁজ মেলা এই দুটি সোনার খনিতে আনুমানিক ৩৩৫০ টন সোনা মজুদ। বর্তমানে ভারতের গোল্ড রিজার্ভের মোট পরিমাণ ৬২৬ টন। অর্থাৎ, এই খনি দুটিতে মজুদ সোনার পরিমাণ প্রায় পাঁচগুণ!
সূত্রের খবর, এই দুটি খনির একটি রয়েছে হারদিতে, অন্যটি সোনপাহাড়িতে। জিএসআই–এর অনুমান, সোনপাহাড়িতে প্রায় ২,৭০০ টন সোনা মজুদ থাকতে পারে। অন্যদিকে, হারদিতে রয়েছে প্রায় ৬৫০ টন সোনা।
জেলার খনি আধিকারিক কেকে রাই জানান, ২০০৫ সালে প্রথমবার এখানে সোনার অস্তিত্বের কথা জানিয়েছিল জিএসআই। ২০১২ সালে ওই দাবি সত্য প্রমাণিত হয়। দেখা যায়, মাওবাদী-অধ্যুষিত অঞ্চলের পাহাড়ের তলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ সোনা।
Gold deposits found in Sonbhadra district by Geological Survey of India and Uttar Pradesh Directorate of Geology & Mining. K K Rai, District Mining Officer says, "Government is thinking of putting these deposits on lease for mining, for which survey is being done". (20.02.20) pic.twitter.com/mgC7QW4Ufo
— ANI UP (@ANINewsUP) February 21, 2020
সূত্রের খবর, খননকার্য চালাতে এই দুই খনিকে লিজে দেওয়ার ভাবনাচিন্তা চলছে। এর জন্য সমীক্ষার কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সোনভদ্রে ভৌগলিক অবস্থানের জন্য সেখানে খননকার্য চালানো সুবিধে। এমনিতেই, সোনভদ্রের মাটি বরাবরই খনিজ-পদার্থে উর্বর বলে পরিচিত। তবে, এখন একেবারে সোনায় সোহাগ! শুধু সোনা নয়, সোনভদ্রে ইউরেনিয়ামের অস্তিত্বেরও খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ইতিমধ্যেই, সাত সদস্যের দল গঠন করে সোনভদ্রে পাঠিয়েছে উত্তরপ্রদেশ খনি দফতর। এই দলটি সোনার খনির মানচিত্র তৈর করবে এবং জিও-ট্যাগিং করবে। আগামী ২২ তারিখ তারা রিপোর্ট জমা দেবে। তারপরই, এই খনি দুটিতে খননকার্যের বরাতের জন্য নিলামপর্বের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
অনেকেই মনে করছেন, সোনার খনি যদি সত্যিই চালু হয়, তাহলে এখানে দক্ষ-অদক্ষ কর্মীর প্রয়োজন হবে। ফলে, কর্মসংস্থান হবে। এই অনুন্নত অঞ্চলটির অর্থনৈতিক উন্নতি হবে।