এক্সপ্লোর
Advertisement
লকডাউনে নেই গাড়িঘোড়া, ১০৫ কিমি সাইকেল চালিয়ে ছেলেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে গেলেন বাবা
মঙ্গলবার শোভরামের ছেলের দশম শ্রেণির সাপ্লিমেন্টারি বোর্ড পরীক্ষা ছিল। বাড়ি থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রের দূরত্ব অনেক। কী ভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছবেন ভেবে প্রথমটায় খুব চিন্তায় পড়ে যান শোভরাম।
ভোপাল: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে জেলায় লকডাউন জারি করেছে প্রশাসন। রাস্তা শুনশান। কোথাও কোনও গাড়ি নেই। তা বলে আর ছেলের বছর নষ্ট হতে পারে না। তাই ছেলেকে নিয়ে সাইকেলে ১০৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে মধ্যপ্রদেশে ধর শহরের পরীক্ষা কেন্দ্র ভোজ গার্লস হাইস্কুলে পৌঁছলেন বাবা শোভরাম।
মঙ্গলবার শোভরামের ছেলের দশম শ্রেণির সাপ্লিমেন্টারি বোর্ড পরীক্ষা ছিল। বাড়ি থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রের দূরত্ব অনেক। কী ভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছবেন ভেবে প্রথমটায় খুব চিন্তায় পড়ে যান শোভরাম। লকডাউনের ফলে রাস্তায় যানবাহন নেই। গাড়ি ভাড়া করার মতো সামর্থ নেই তাঁদের। কিন্তু পরীক্ষা দিতে না পারলে যে ছেলের বছরটাই নষ্ট হয়ে যাবে। তাই সাইকেলে চেপে ধর জেলার বাইদিপুর গ্রাম থেকে রওনা দেন সোমবার। দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে রাতে মানওয়ার শহরে বিশ্রাম নেন। সেখান থেকে ফের যাত্রা শুরু করে মঙ্গলবার সকালে ধর শহরে পৌঁছন শোভরাম। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে তিনি জানিয়েছেন, আমি যদি পৌঁছতে না পারতাম তা হলে ছেলেটার বছর নষ্ট হয়ে যেত। দু-তিন দিন কাটানোর মতো খাবার সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। কষ্ট হলেও পরীক্ষা শুরুর ঠিক আগে হলে পৌঁছে গিয়েছিলাম।
১৫ বছরের আশিস জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের রুখ জাহা নেহি প্রকল্পের আওতায় দশম শ্রেণির স্লাপিমেন্টারি পরীক্ষা দিচ্ছে সে। শোভরাম নিজে পড়াশোনা করতে পারেননি। তিনি নিরক্ষর হলেও ছেলে যেন পড়াশোনাটা চালিয়ে যেতে পারে, সেটাই তো তাঁর স্বপ্ন। জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি।
খবর (News) লেটেস্ট খবর এবং আপডেট জানার জন্য দেখুন এবিপি লাইভ। ব্রেকিং নিউজ এবং ডেলি শিরোনাম দেখতে চোখ রাখুন এবিপি আনন্দ লাইভ টিভিতে
আরও দেখুন
Advertisement
ট্রেন্ডিং
Advertisement
Advertisement
সেরা শিরোনাম
জেলার
ব্যবসা-বাণিজ্যের
ক্রিকেট
জেলার
Advertisement