Arab Israel War:৫৫ মিটার লম্বা সুড়ঙ্গ, সঙ্গে ২ ভিডিও! অল-শিফা হাসপাতালে জঙ্গি কাজকর্মের 'প্রমাণ' ইজরায়েলের
Tunnel Found Under Hospital:স্রেফ তত্ত্ব নয়, একেবারে হাতেগরম 'প্রমাণ'। গাজার অল-শিফা হাসপাতাল চত্বরে যে জঙ্গি কার্যকলাপ চলছিল, তার 'প্রমাণ ' হিসেবে সেখানে হদিশ মেলা একটি সুড়ঙ্গের কথা জানাল ইজরায়েল।
নয়াদিল্লি: স্রেফ তত্ত্ব নয়, একেবারে হাতেগরম 'প্রমাণ'। গাজার অল-শিফা হাসপাতাল (al shifa hospita In gaza) চত্বরে যে জঙ্গি কার্যকলাপ চলছিল, তার 'প্রমাণ ' হিসেবে সেখানে হদিশ মেলা একটি সুড়ঙ্গের কথা জানাল ইজরায়েল। বাইরের আক্রমণ থেকে সুরক্ষিত সুড়ঙ্গটি অন্তত ৫৫মিটার লম্বা। মাটি থেকে ১০ মিটার গভীরে তৈরি করা হয়েছে এটিকে, দাবি ইজরায়েলের (Arab Israel War)। শুধু তাই নয়। পরে দুটি ভিডিও প্রকাশ করে বেঞ্জামিন নেতানইয়াহু প্রশাসন। তাতে দেখা যাচ্ছে, দু'জন পণবন্দিকে জোর করে হাসপাতালে ঢোকাচ্ছে হামাস জঙ্গিরা। ইজরায়েলের দাবি, ভিডিওটি অল শিফা হাসপাতালের। দুটি দাবি নতুনতীব্র আলোড়ন তুললেও তাদের সত্যতা নিয়ে নিঃসংশয় নয় অনেকেই।
দাবি ও পাল্টা দাবি...
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইজরায়েলের প্রকাশিত দুটি ভিডিও-র সত্যতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। তবে একই সঙ্গে তাদের দাবি, ভিডিওতে যা দেখা যাচ্ছে তা সত্যি হলে সেটি আশার কথা।কারণ সেক্ষেত্রেও একটাই অর্থ দাঁড়ায়। এই সংঘর্ষে কেউ জখম হলে তাঁর পরিচয় না দেখেই চিকিৎসা করছেন অল-শিফা হাসপাতালের ডাক্তাররা। আইডিএফ অবশ্য গাজার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কোনও যুক্তি মানতে চায়নি। তাদের বক্তব্য, ভিডিওদুটিতে যে দুই পণবন্দিতে দেখা গিয়েছে তাঁদের মোটেও চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়নি। আনা হয়েছিল হাসপাতাল সংলগ্ন গোপন ডেরায় লুকনোর জন্য। আইডিএফের আরও দাবি, ভিডিওয় যে দু'জন পণবন্দিকে দেখা গিয়েছে তাঁদের একজন নেপাল ও অন্য জন তাইল্যান্ডের বাসিন্দা। একজনের হাতে ব্যান্ডেজ বাধা ছিল। হাত থেকে রক্ত পড়তেও দেখা যায়। কিন্তু তার পর থেকে আর কোনও হদিশ নেই তাঁদের। কোথায় গেলেন তাঁরা? বস্তুত এই পণবন্দিদের মুক্তির দাবিতেই অভিযানের তীব্রতা বাড়িয়েছে ইজরায়েল। প্রথমে অল-শিফা হাসপাতাল চত্বরে সুরক্ষিত সুড়ঙ্গের হদিশ ও একই হাসপাতালের দু'টি ভিডিও পেশ করে, সেই অভিযানকে যুক্তিযুক্ত প্রমাণ করতে মরিয়া ইজরায়েল।
অন্য দিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, হাসপাতালের ৩১ জন সদ্যোজাতকে যে পরিস্থিতিতে উদ্ধার করে আনতে হয়েছে তার পর তাদের অনেকের অবস্থা বেশ কঠিন। এই মুহূর্তে দক্ষিণ গাজার এমিরেটস ম্যাটারনিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ৩১ জনের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। কঠিন সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে সদ্যোজাতদের। হাসপাতালে আটকে পড়া ৬ স্বাস্থ্যকর্মী ও ১০ জন পরিবারের সদস্যকেও উদ্ধার করা হয়েছে সদ্যোজাতদের সঙ্গে। বস্তুত গাজা সিটি-সহ ১১ লক্ষের বাসস্থল উত্তর গাজা নতুন করে খালি করতে বলা হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন যে অনেকে খালি পায়েই হাঁটতে শুরু করে দেন। কিন্তু এই পালানোর শেষ কোথায়? এই যন্ত্রণার ইতি কবে? উত্তর খুঁজছে গাজা।
আরও পড়ুন:ইয়েমেনে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড ভারতীয় নার্সের, কে এই নিমিশা প্রিয়া ?