(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
7th Pay Commission : অবশেষে জুলাইয়ের বেতনের সঙ্গে ২৮ শতাংশ ডিএ পেলেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা, মিলল এইচআরএ-ও
প্রায় ১৮ মাস স্থগিত থাকার পর ডিএ(ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স) পেলেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। জুলাইয়ের বেতনের সঙ্গে ডিএ পেয়েছেন তাঁরা।
নয়া দিল্লি : সুখবর । প্রায় ১৮ মাস স্থগিত থাকার পর ডিএ(ডিয়ারনেস অ্যালাওয়েন্স) পেলেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। জুলাইয়ের বেতনের সঙ্গে ডিএ পেয়েছেন তাঁরা। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে এমনই খবর। ১৪ জুলাই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এনিয়ে ঘোষণা করা হয়েছিল।
ডিএ-র পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স(এইচআরএ)-ও পেয়েছেন। শহরের ভিত্তিতে তা প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, শহরগুলিকে তিনটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করে এই ভাতা দেওয়া হয়। যেগুলি - X, Y ও Z হিসেবে নামকরণ করা আছে। এই মুহূর্তে যেসব কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী X ক্যাটেগরির শহরে আছেন তাঁরা ২৭ শতাংশ এইচআরএ, Y ক্যাটেগরির কর্মীরা ১৮ শতাংশ এবং Z ক্যাটেগরির কর্মীরা ৯ শতাংশ করে এই ভাতা পেয়েছেন।
দিনকয়েক আগেই ক্যাবিনেট সচিবের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জয়েন্ট কাউন্সিল মেশিনারি মহার্ঘভাতার বিষয়ে ছাড়পত্র দেয়। এরপরেই ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ফলে ১৭ শতাংশ থেকে বেড়ে মহার্ঘভাতা দাঁড়ায় ২৮ শতাংশে। গত ১৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত বছর এদেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মহার্ঘভাতা দেওয়া বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তিনটি কিস্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের যে মহার্ঘভাতা দেওয়ার কথা ছিল, সেটা স্থগিত রাখা হয়। গত বছরের এপ্রিল থেকে মহার্ঘভাতা বন্ধ করে দিয়ে ৩৭,৫৩০.০৮ কোটি টাকা বাঁচাতে সক্ষম হয় কেন্দ্র। লকডাউনের ফলে তৈরি হওয়া আর্থিক সঙ্কট সামাল দেওয়ার জন্য সেই টাকা কাজে লাগানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছর দেশে দেখা গিয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ। সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়েছিল। এ বছর আবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বিপর্যয় নিয়ে আসে। গত কয়েক মাস ধরে ব্যাপক সংক্রমণের জেরে ফের থমকে যায় সবকিছু। গোটা দেশজুড়ে বিধি-নিষেধ জারি হয়। থমকে যায় অর্থনৈতিক লেনদেন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কোষাগারেও চাপ বাড়ে।