(Source: Poll of Polls)
তৃণমূলের দৈনিক মুখপত্রে অনিল-কন্যার লেখা, শোরগোল রাজনৈতিক মহলে
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র। আর তার উত্তর সম্পাদকীয়তে প্রকাশিত হচ্ছে সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের মেয়ের লেখা।
কলকাতা: তৃণমূলের মুখপত্রে উত্তর সম্পাদকীয় লিখলেন প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অজন্তা বিশ্বাস। সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের মেয়ের লেখা প্রকাশিত হতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর, এই নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। তৃণমূলের দাবি, এর মধ্যে রাজনীতির কোনও বিষয় নেই।
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র। আর তার উত্তর সম্পাদকীয়তে প্রকাশিত হচ্ছে সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদকের মেয়ের লেখা। বিষয় - বঙ্গ রাজনীতিতে নারীশক্তি। লেখক সিপিএমের প্রাক্তন রাজ্য সম্পাদক, প্রয়াত অনিল বিশ্বাসের মেয়ে অধ্যাপক অজন্তা বিশ্বাস।
তৃণমূল সূত্রের খবর, দলীয় মুখপত্রের উত্তর সম্পাদকীয় লেখার জন্য কয়েকদিন আগেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক অজন্তা বিশ্বাসের লেখা চাওয়া হয়। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়ে প্রবন্ধটি লেখেন অনিল-তনয়া। বিষয়টি নজরে পড়ার পর, এ নিয়ে রাজ্য সিপিএমের অন্দরে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, বুধবার সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে এই প্রসঙ্গ ওঠে। অজন্তা বিশ্বাস কেন তৃণমূলের দলীয় পত্রিকায় লিখতে গেলেন, তা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে দলীয় নেতৃত্ব। যদিও এ ব্যাপারে প্রকাশ্যে কেউ কিছুই বলেননি।
তবে দিল্লিতে মোদি বিরোধী বৃহত্তর জোট গড়ার তৎপরতার মধ্যেই, তৃণমূলের মুখপত্রে সিপিএমের প্রাক্তন দাপুটে রাজ্য সম্পাদক অনিল বিশ্বাসের মেয়ের লেখা বেরোনোর ঘটনা, জল্পনার স্রোত বইয়ে দিচ্ছে রাজ্য-রাজনীতিতে।
এ প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'কে লিখেছে না দেখে, কী বিষয়ে লিখেছে দেখুন, অযথা রাজনীতি নয়, বিমান বসু তো বলেছিলেন একসঙ্গে কাজ করার সময় এসেছে।' এ প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষের মন্তব্য, 'গুণের বিচারে লেখা ছাপা হয়েছে। এর মধ্যে রাজনীতি নেই।' তৃণমূলের মুখপত্রের উত্তর সম্পাদকীয়তে লেখা নিয়ে পার্টির অন্দরে অস্বস্তি তৈরি হলেও এ ব্যাপারে অজন্তা বিশ্বাসের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
তবে কিছুদিন আগে ঘনিষ্ঠ মহলে অনিল তনয়া জানান, যখন তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্য কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন, তখন খোঁজ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেন। ভিন্ন মতাদর্শ হলেও, মুখ্যমন্ত্রীর এই আন্তরিকতায় তাঁদের কৃতজ্ঞতাবোধের শেষ নেই।