Belur Math: রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথিতে বন্ধ থাকবে বেলুড় মঠ
চলতি মাসে দু’দিন ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকবে বেলুড় মঠ। আগামী ১৫ মার্চ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি ও ২১ মার্চ শ্রী শ্রী ঠাকুরের জন্মমহোৎসবে ভক্তদের জন্য মঠ বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ভাস্কর ঘোষ, বেলুড়: চলতি মাসে দু’দিন ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকবে বেলুড় মঠ। আগামী ১৫ মার্চ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের জন্মতিথি ও ২১ মার্চ শ্রী শ্রী ঠাকুরের জন্মমহোৎসবে ভক্তদের জন্য মঠ বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে অনুষ্ঠান দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন না ভক্তবৃন্দ। অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মানুষের জন্য তাঁর ভাবনার অন্ত ছিল না। কিন্তু নিজের জন্মতিথিতে ভক্তদের থেকে দূরেই থাকবেন ঠাকুর! আগামী ১৫ মার্চ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণদেবের ১৮৬ তম জন্মতিথি৷ অন্যান্য বছর এই দিনটিতে ভক্তদের সমাগমে উপচে পড়ে বেলুড় মঠ। তবে করোনাকালে অন্যান্য উৎসবমুখর দিনের মতো এই দিনও বেলুড় মঠ থাকবে ভক্তশূন্য। পাশাপাশি ২১ মার্চ শ্রী শ্রী ঠাকুরের জন্মমহোৎসবের দিনও ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হবে বেলুড় মঠ।
করোনা আবহে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত ১০ ফেব্রুয়ারি শর্তসাপেক্ষে দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয় বেলুড় মঠ। মঙ্গলবার বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাবতীয় অনুষ্ঠানই সরাসরি সম্প্রচার করা হবে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
৫ মার্চ মঠ বন্ধ হয়েছিল। মাঝে ১৫ জুন বেলুড় মঠ খুললেও গত ২ অগাস্ট ফের বন্ধ হয়ে যায়। তারপর আবার ১০ ফেব্রুয়ারি খুলে যায়। তবে বেলুড় মঠ খুললেও দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু বিধিনিষেধ। করোনা মহামারীর জেরে টানা ১৯২ দিন বন্ধ থাকার পর আবার খুলেছে বেলুড় মঠ। তবে মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভক্তদের মানতে হচ্ছে করোনা সংক্রান্ত যাবতীয় বিধিনিষেধ। এই বিধি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা এবং দুপুর সাড়ে ৩টে থেকে বিকেল সওয়া ৫টা পর্যন্ত মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকছে। মূল মন্দিরে বসে ধ্যান করা বা আরতি দেখা যাচ্ছে না। আপাতত বন্ধ রয়েছে প্রসাদ বিতরণও। করোনার জেরে লকডাউনের কারণে গত ২৫ মার্চ প্রথম দফায় বন্ধ হয়েছিল বেলুড় মঠ। তারপর গত ১৫ জুন মঠ খুলে দেওয়া হয় ভক্তদের জন্য। ২ অগাস্ট ফের বন্ধ হয়ে যায় মঠ।
অতিরিক্ত ভিড় এড়াতে ১৬ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিনও বেলুড় মঠে দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। বেলুড় মঠ চত্বরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে হচ্ছে মাস্ক পরে, সারিবদ্ধভাবে, দূরত্ববিধি মেনে। মঠে প্রবেশের সময় স্যানিটাইজারের ব্যবহার করার পাশাপাশি থার্মাল চেকিংও হচ্ছে সকল দর্শনার্থীদের।