Rahul Gandhi: জম্মুর সভায় নিজেকে কাশ্মীরি পণ্ডিত হিসেবে দাবি রাহুল গাঁধীর
উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে কি ফের নরম হিন্দুত্বের পথে হাঁটছেন রাহুল গাঁধী?
নয়াদিল্লি: বৃহস্পতিবার ১৪ কিলোমিটার হেঁটে বৈষ্ণোদেবী দর্শনে গেছিলেন। শুক্রবার জম্মুর সভায় নিজেকে কাশ্মীরি পণ্ডিত হিসেবে দাবি করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গাঁধী। যার প্রেক্ষিতে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন, উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যে ভোটের আগে কি ফের নরম হিন্দুত্বের পথে হাঁটছেন তিনি?
বৃহস্পতিবার কাটরা বেসক্যাম্প থেকে ১৪ কিলোমিটারা হেঁটে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যান রাহুল। সেখানে পুজো দেন। দেখা করেন প্রধান পুরোহিতের সঙ্গে। শুক্রবার জম্মুর সভা থেকে রাহুল বারবার নিজের কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিচয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দিল্লিতে বাস করার আগে আমার পরিবারও কাশ্মীরে থাকত। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আমার মধ্যেও কাশ্মীরিয়ত আছে। আমি আপনাদের বুঝি। আপনাদের চিন্তা-ভাবনা বুঝি।’
এ নিয়ে পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে বিভিন্ন মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। যার মধ্যে নরম হিন্দুত্বের কৌশল খুঁজে পেয়েছিলেন অনেকে। এবার সামনে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা ভোট। সেকথা মাথায় রেখে রাহুল গাঁধী কি ফের সেই নরম হিন্দুত্বের কৌশল নিচ্ছেন? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন প্রকল্পের মাধ্যমে মোদি সরকার রেল, জাতীয় সড়ক, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহণ, তেল ও গ্যাসের পাইপলাইন, বিমানবন্দর, জাহাজ বন্দরের পরিকাঠামো, স্টেডিয়াম ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই সিদ্ধান্তেরই তীব্র প্রতিবাদ করে নিজের কয়েকজন শিল্পপতি বন্ধুর সুবিধা করে দিতেই নরেন্দ্র মোদি দেশের সম্পত্তি বিক্রি করে দিচ্ছেন বলে কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেন রাহুল গাঁধী।
যদিও মোদি সরকারের দাবি, সরকারি সম্পত্তি বিক্রি করা হচ্ছে না। মালিকানা সরকারের হাতেই থাকবে।
সরকারি সম্পদ বেসরকারি ভাবে ব্যবহারের রাস্তা খুলে দিয়ে ৪ বছরে প্রায় ৬ লক্ষ কোটি টাকা ঘরে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে মোদি সরকার। আর এই সিদ্ধান্তের ফলেই বিজেপি ঘনিষ্ঠ গুটিকয়েক শিল্পপতির বিপুল লাভ ও কোটি কোটি তরুণ-তরুণীর চাকরির আশা শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন রাহুল গাঁধী।
মোদি সরকার দাবি করছে, সরকারি সম্পত্তি যথাযথ ব্যবহার করা হচ্ছে, বিক্রি করা হচ্ছে না। আর করোনাকালে যখন অসংখ্য মানুষ চাকরি হারা, বেকারত্ব দিনে দিনে বাড়ছে, তখন সরকারি সম্পত্তি এভাবে বেসরকারি হাতে তুলে দিয়ে, কয়েকজন শিল্পপতির বন্ধুর লাভ আর কোটি কোটি তরুণ-তরুণীর সর্বনাশই মোদি সরকার করছে বলে দাবি রাহুল গাঁধীর।