Buy Land on Mars: মঙ্গলে এক একর জমি মাত্র ৩ হাজার টাকায়, কিনবেন?
চাঁদে জমি কিনেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুত। সেখানে জমি রয়েছে বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানেরও।
কলকাতা: এক বিঘা, দুই বিঘা নয়, মঙ্গলে এক একর জমির দাম মাত্র ৩ হাজার টাকা। বিশ্বাস হচ্ছে না তো? না হওয়ারই কথা। তাহলে এবার এটাও জেনে রাখুন, মঙ্গলে জমি কিনেছেন পশ্চিমবঙ্গের হুগলী জেলার শ্রীরামপুরের বাসিন্দা। আজগুবি কিংবা মনগড়া গল্প নয়। মঙ্গলে কেনা এক একর জমির দলিল দেখিয়ে গুগলের কনট্রিবিউটর শৌনক দাস দাবি করেছেন তিনি মঙ্গলে জমি কেনা সম্ভবত প্রথম বাঙালি। আরও চমকে দেওয়ার মতো তথ্যা, মঙ্গলে শৌনকের প্রতিবেশী হলিউড অভিনেতা টম ক্রজ। শুধু ‘মিশন ইমপসিবল’ খ্যাত অভিনেতাই নন, হলিউডের আরও ২৫০ তারকারও মঙ্গলে জমি আছে বলে দাবি তাঁর।
(মঙ্গলে জমি কিনেছেন শ্রীরামপুরের শৌনক দাস)শৌনকের কাছ থেকেই জানা গেল, মহাকাশে জমি বিক্রির কপিরাইট নিয়ে বসে আছে বাইমার্স ডট কম নামের একটি বেসরকারি মার্কিনি রিয়েল এস্টেট সংস্থা। মঙ্গল ছাঁড়াও চাঁদ সহ আরও একাধিক গ্রহে জমি বিক্রি করে এই সংস্থা। মার্কিন সংস্থা, তাদের ওয়েবসাইটে দাবি করেছে, বিগত ৩ দশক ধরে তারার নামকরণও করছে তারা। তাদের আরও দাবি, পৃথিবীতে বাইমার্স ডট কম – ই একমাত্র সংস্থা যারা মহাকাশের জমি কেনাবেচা করে। বিশ্বের ১৭৬টি দেশের ৫০ লক্ষ মানুষ এই কোম্পানির পরিষেবা নিয়েছেন বলেও দাবি।
এখন প্রশ্ন, মঙ্গলে জমির দাম কেন এত কম? আর দাম কম হলেও কি তা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত? হাসি মুখে মহাকাশযানের শৌচালয়ের নকশা তৈরির কারিগর উত্তর দেন, “আমারও অবাক লেগেছিল। তবে দাম ওঠা নামা করে, পরে বাড়তেও পারে। দেখা গেল এমন বাড়ল যে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে গেল।” পরের প্রশ্নে তাঁর উত্তর, “সবাই কিনতে পারে, তবে এতে প্রযুক্তিগত কিছু বিষয় জেনে নেওয়া ভাল। এক একরের দাম তিন হাজার টাকা হলেও দলিলপত্র করে হাতে পেতে আরও বেশ কিছু টাকা লাগে।”
আচ্ছা, মহাকাশের জমি কেনাবেচার বিষয়টি কি বৈধ? এক্ষেত্রে ২টি বিষয়ের কথা না বললেই নয়।
- ১৯৬৭ সালে আউটার স্পেস ট্রিটি-তে পৃথিবীর বাইরে মহাকাশের যে কোন গ্রহে জমি বেচার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রেট ব্রিটেন, সোভিয়েত রাশিয়ার মধ্যে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরে চিন সহ রাষ্ট্রপুঞ্জের আরও ১৪টি দেশ এই চুক্তির অন্তর্গত হয়।
- পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কমার্শিয়াল স্পেস লঞ্চ কমপিটিটিভ অ্যাক্ট আনে, যেখানে আরও নির্দিষ্ট করে বলা হয়, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মহাকাশ এবং গ্রহে জমি কেনা বেচা করতে পারে। তবে নাসা সেখানে গবেষণা চালালে বেসরকারি সংস্থাকে সেই জায়গা ছেড়ে দিতে হবে। সেক্ষেত্রে সম্পূর্ণভাবে জমি চলে যাবে সরকারি হাতে।
শ্রীরামপুরের শৌনক সেই গাইডলাইন মেনেই মঙ্গলে জমি কিনেছেন। প্রসঙ্গত, একই নিয়ম অনুসরণ করে চাঁদে জমি কিনেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুত। সেখানে জমি রয়েছে বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানেরও।