কংগ্রেসের ন্যায়-প্রকল্পে গলদ আছে, নকশা তৈরিতে আমার ভূমিকা নেই: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ
শনিবার, একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের ন্যূনতম আয় প্রকল্প (ন্যায়)-এর সমালোচনা করেন অভিজিৎ।
নয়াদিল্লি: কংগ্রেসের ন্যায়-প্রকল্পকে তিনি সমর্থন করেছেন বলে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিজেপি। কিন্তু, দেশে ফিরে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ জানিয়ে দিলেন, ন্যায়-প্রকল্পের নকশা ‘নির্ভুল’ নয়। এমনকী, তিনি এ-ও জানিয়ে দেন, ওই প্রকল্পের সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই যুক্ত নন। আগামী মঙ্গলবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাত হতে চলেছে অভিজিৎ বিনায়কের। তার আগে, নোবেলজয়ীর মুখে এই মন্তব্য বাড়তি জল্পনা উস্কে দিয়েছে। শনিবার, একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের ন্যূনতম আয় প্রকল্প (ন্যায়)-এর সমালোচনা করেন অভিজিৎ। তিনি বলেন, ন্যায়ের নকশা ঠিক ছিল না। আমি এর নকশার কোনও দায়িত্ব নেব না। কারণ, কেউ আমাকে জিজ্ঞাসা করেনি, যে কেমনভাবে ওই প্রকল্পের নকশা তৈরি করা উচিত। তিনি জানিয়ে দেন, ন্যায় প্রকল্পে তিনি কেবলমাত্র কিছু তথ্য সরবারহ করেছিলেন। কিন্তু, নকশা তৈরিতে কোনওপ্রকার সক্রিয় ভূমিকা ছিল না। অভিজিৎ যোগ করেন, ভবিষ্যতে ইউপিএ ক্ষমতায় এলে, হয়ত রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক চাপের কারণে তাদের এই নকশা বদলাতে হবে। তবে, রাজনৈতিকভাবে এই প্রকল্পকে তুলে ধরা হলেও, এটা একেবারে সেরা নকশা নয় বলেও জানিয়ে দেন। অভিজিতের এই মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ, তাঁর নোবেল জয়ের কথা ঘোষণা হওয়ার পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধী টুইটে লিখেছিলেন, ন্যায় প্রকল্পের নকশা গড়তে সাহায্য করেছেন অভিজিৎ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় অর্থনীতির বিকাশ ঘটবে এবং গরিবি মিটে যাবে। প্রিয়ঙ্কা গাঁধীও বলেছিলেন, কংগ্রেসের ইস্তাহারের আকর্ষণ ন্যায় প্রকল্পে পরামর্শ দিয়েছেন অভিজিৎ। আশা করেন, এই প্রকল্প একদিন বাস্তবায়িত হবে। ন্যায়-প্রকল্পের সমালোচনা করার পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার প্রশংসা করেন নোবেলজয়ী অভিজিৎ। তাঁর মতে, মোদি হলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়। মানুষ তাঁকে সমর্থন করেছেন, কারণ, জনগণের মনে হয়েছে, কোনও বিরোধী নেতার ভোট পাওয়ার যোগ্যতা নেই। অভিজিৎ বলেন, মোদি হলেন সম্পূর্ণ প্যাকেজ। তাই মানুষ তাঁকে ভোট দিয়েছেন। যদিও, একইসঙ্গে তিনি মনে করেন, দেশে একটা শক্তিশালী বিরোধী দলের থাকাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের এখন সেটাই প্রয়োজন। এটা গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গল। তবে, মানুষ মনে করে, বর্তমানে কংগ্রেসের সেই ধকল নেওয়ার ক্ষমতা নেই।