‘টিকা উৎসবে’র মধ্যেই রাজ্য রাজ্যে ভ্যাকসিনের ‘আকাল’, অবিলম্বে ৫০ লক্ষ ডোজ পাঠানোর আর্জি কেরলের
'টিকা উৎসব' এমন একটা সময়ে চলছে, যখন ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। প্রত্যেকদিনই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বিগত দিনের রেকর্ডকে পিছনে ফেলছে।
নয়াদিল্লি: গত রবিবার থেকে শুরু হয়েছে কোভিড ১৯ গণ টিকাকরণ অভিযান। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এর নাম দিয়েছেন ‘টিকা উৎসব’। কিন্তু এরইমধ্যে বিভিন্ন রাজ্য থেকে ভ্যাকসিনের অভাবের অভিযোগ উঠে আসছে।
'টিকা উৎসব' এমন একটা সময়ে চলছে, যখন ভারতে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। প্রত্যেকদিনই দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা বিগত দিনের রেকর্ডকে পিছনে ফেলছে।
ভ্যাকসিন ফুরিয়ে যাওয়ায় উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল, তেহরি গারওয়াল, রাজস্থানের রাজসমন্দ ও প্রতাপগড়, মহারাষ্ট্রের সিতারা, পানভেন এবং মধ্যপ্রদেশে মোরেনায় মাঝপথেই ওই অভিযান বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। কারণ, ভ্যাকসিন প্রদান কেন্দ্রগুলি সঞ্চয় ফুরিয়ে গিয়েছিল। আধিকারিক সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছিল।
টিকার সরবরাহে ঘাটতির খবর এসেছে পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, বিহার থেকেও। ফলে রাজ্য সরকারগুলিকে দৈনিক টিকাকরণের লক্ষ্যমাত্রা কমাতে হয়েছে।
রাজস্থানের অশোক গেহলৌত, মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে, দিল্লির অরবিন্দ কেজরীবাল ও পঞ্জাবের অমরিন্দর সিংহ সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা ভ্যাকসিনে ঘাটতির কথা কেন্দ্রকে জানিয়েছে। কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া নতুন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে টিকার মজুতে ঘাটতি অবিলম্বে পূরণের আর্জি জানানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রাজস্থান সরকারের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, গত বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী ৩০ লক্ষ ডোজ চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন।
পঞ্জাব সরকারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘাটতির কারণে রবিবার স্বল্প সংখ্যক মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।
উত্তরাখণ্ডেও গত রবিবার লক্ষ্যমাত্রা তুলনায় কম টিকাকরণ হয়েছে বলে খবর। ওড়িশায় সরবরাহে অপ্রতুলতার কারণে ৯০০ করোনা টিকাকরণ কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছিল।
গত রবিবার টিকা উৎসবের প্রথম দিন বিহারে ২০৬,৩৫৪ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছিল, যা ছিল গত শনিবারের চেয়ে কম।
গত শুক্রবারই বিভিন্ন রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে টিকার অপ্রতুলতার ব্যাপারে কেন্দ্রকে জানানো হয়। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানিয়েছিলেন যে, দেশে ভ্যাকসিনের কোনও ঘাটতি নেই। ৪ কোটির বেশি ডোজ এখনও রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে মোদি বলেছিলেন যে, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতেই ভ্যাকসিন প্রদান করতে হবে সরবরাহের সীমাবদ্ধতার কথা মাথায় রেখে। একইসঙ্গে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও তিনি খেদ প্রকাশ করেছিলেন।
এরইমধ্যে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজ্যে অবিলম্বে ৫০ লক্ষ টিকার ডোজ পাঠানোর আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন।