‘জীবাণুনাশক ছড়িয়ে আটকানো সম্ভব নয় করোনাভাইরাস, বরং বাড়তে পারে অন্যান্য রোগ’, বলছে‘হু’
রাস্তায় জীবাণুনাশক ছড়ানো মুক্তি দেবে না নয়া করোনাভাইরাসের থেকে, বরং ডেকে আনবে আরও অন্যান্য রোগ! চাঞ্চল্যকর তথ্য ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন বা ‘হু’-এর তরফে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত-সহ বহু দেশের রাস্তায় রাস্তায় ছড়ানো হচ্ছে সংক্রমণ-নাশক। কিন্তু করোনা প্রতিরোধে কোনই কাজ দেবে না এই পদ্ধতি, তথ্য প্রকাশ করে দাবি করছে ‘হু’।
জেনেভা: রাস্তায় জীবাণুনাশক ছড়ানো মুক্তি দেবে না নয়া করোনাভাইরাসের থেকে, বরং ডেকে আনবে আরও অন্যান্য রোগ! চাঞ্চল্যকর তথ্য ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন বা ‘হু’-এর তরফে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত-সহ বহু দেশের রাস্তায় রাস্তায় ছড়ানো হচ্ছে সংক্রমণ-নাশক। কিন্তু করোনা প্রতিরোধে কোনই কাজ দেবে না এই পদ্ধতি, তথ্য প্রকাশ করে দাবি করছে ‘হু’।
এর আগে ‘হু’ জানিয়েছিল, জড় পদার্থের ওপরে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে করোনাভাইরাস। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণও। তাই হাতের মোবাইল থেকে রাস্তাঘাট, দোকানবাজার, সংক্রমণের আওতায় পড়তে পারে সবই। এজন্য কোনও এলাকায় করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিললেই পুরসভার তরফে সেখানে ছড়ানো হচ্ছিল জীবাণুনাশক। এছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ে সময়ে এলাকাভিত্তিক ভাবে করোনা রোধে স্প্রে করা হয়েছে জীবাণুনাশক। কিন্তু ‘হু’-এর নতুন তথ্য অনুযায়ী, বার বার জিন বদলাতে থাকা করোনাভাইরাসের ওপর কাজ করছে না এই সংক্রমণ-নাশক। বরং কড়া রাসায়নিক ব্যবহারের জন্য তা ডেকে আনছে অন্য দীর্ঘমেয়াদী মারাত্মক সব রোগকে।
আজ ‘হু’-এর তরফে যে নথি প্রকাশ করা হয়েছে, সেই অনুযায়ী, ‘দোকানবাজার বা রাস্তাঘাটে জীবাণুনাশক স্প্রে করা খুব একটা ফলপ্রসূ নয়। কারণ রাস্তায় থাকা ধুলো-ধোঁয়া নষ্ট করে দেয় জীবাণুনাশকের কর্মক্ষমতা। এছাড়াও সবসময় জৈব পদার্থের জীবাণুনাশক ছড়ানো সম্ভব নয় না। এর জন্য সাহায্য নিতে হয় সেই রাসায়নিক জীবাণুনাশকের যা মানবস্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর। সেই জীবাণুনাশক ছড়ানোর পর নির্দিষ্ট সময় অবধি রাস্তাঘাট ঢেকে রাখতে হবে ও সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে চলাচল। বিপুল জনসংখ্যার কারণে তা প্রায় অসম্ভব।’
এছাড়াও ‘হু’-এর তরফে আরও জানানো হয়েছে, ‘রাস্তাঘাটে জীবাণু সংরক্ষিত থাকতে পারে না। সেই কারণে বারে বারে জীবাণুনাশক ছড়ানো আখেরে ক্ষতি করবে মানব শরীরেই। অন্যদিকে যে কোনও পরিস্থিতিতেই মানব শরীরে সরাসরি জীবাণুনাশক স্প্রে করা কখনওই উচিত নয়। এর ফলে কেবল শারীরিক নয়, মানসিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে মানুষ। আর সত্যিই যদি সেই বিশেষ ব্যক্তি করোনাভাইরাসের বাহক হন, তবে জীবাণুনাশক স্প্রে করলেও ভাইরাসমুক্ত করা যাবে না সেই বিশেষ ব্যক্তিকে। তাঁর থেকে যথারীতি ছড়িয়ে পড়বে সংক্রমণ। অন্যদিকে জীবাণুনাশক যদি সরাসরি চামড়ায় লাগে তাহলে ক্ষতি হতে পারে চোখের ও চামড়ার।’
হু আরও জানাচ্ছে, ‘জীবাণুনাশক ছড়ানোর সময় কোনওরকম কাপড় বা এমন কোনও পদার্থ ব্যবহার করা যাবে না যাতে জীবাণুনাশক শুষে নেয়। যারা এই কাজটি করছেন তাঁদেরও ব্যবহার করতে হবে বিশেষ পোশাক।’ বর্তমানে গোটা পৃথিবীতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩ লক্ষ।