COVID-19 Vaccination: মহিলাকে দু’বার করোনার টিকা দিয়ে ফেললেন ফোনে মশগুল নার্স!
সারা বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের দাপট অব্যাহত। মারণ এই ভাইরাস মোকাবিলার জন্য যাবতীয় প্রচেষ্টা চলছে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। সরকার এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির পক্ষ থেকে জনগনের কাছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধি মেনে চলার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি স্বাস্থ্য বিভাগেরই গাফিলতি হয়ে যায়, তাহলে আর কী করার আছে?
কানপুর: সারা বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের দাপট অব্যাহত। মারণ এই ভাইরাস মোকাবিলার জন্য যাবতীয় প্রচেষ্টা চলছে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়। সরকার এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির পক্ষ থেকে জনগনের কাছে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধি মেনে চলার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি স্বাস্থ্য বিভাগেরই গাফিলতি হয়ে যায়, তাহলে আর কী করার আছে? উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাতে এমনই একটা ঘটনা ঘটল। সেখানে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এর এএনএম মোবাইলে কথা বলতে বলতেই এক মহিলাকে একসঙ্গে দু-দুবার করোনার টিকা দিয়ে বসলেন।
সরকার করোনা মহামারী সংক্রান্ত গুরুতর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সাধারণের কাছে মাস্ক পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার বা বারবার সাবান-জল দিয়ে হাত ধোওয়া, সামাজিক দূরত্ব বিধি পালনের আর্জি জানাচ্ছে। সেইসঙ্গে কোনও সমস্যা হলে অবিলম্বে স্বাস্থ্য বিভাগের সাহায্য নেওয়ার কথা বলছে সরকার। কিন্তু করোনা থেকে জীবন রক্ষার ভার যেখানে, সেখানেই যদি এমন গাফিলতি হয়, তা হলে পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রে কতটা সমস্যা হতে পারে, তা বলাই বাহুল্য।
জানা গেছে, কানপুর দেহাত জেলার মন্ডোলি পিএইচসি-তে কর্তব্যরতম এএনএম-কে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কোভিড ভ্যাকসিন দেওযার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কাজের সময় অর্চনা নামের ওই এএনএম মোবাইলে এতটাই মশগুল ছিলেন যে, কমলেশ দেবী নামে এক মহিলাকে দুবার টিকা দিয়ে ফেলেন। এতে কমলেশ দেবীর হাত ফুলে যায় এবং যন্ত্রনাও অনুভব করেন। কমলেশ দেবী যখন তাঁকে কেন দুবার ইঞ্জেকশন দেওয়ার ব্যাপারে জানতে চান, তখন অর্চনা ভুল করে দেওয়া হয়ে গিয়েছে বলে দায় এড়িয়ে যান। শুধু তাই নয়, কমলেশ দেবীকেই বকাঝকা করতে থাকেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের এতবড় গাফিলতিতে কমলেশ দেবীর জীবন বিপন্ন হতে পারত। কিন্তু এই গাফিলতির দায় নিতে নারাজ স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ব্যাপারে জেলার মুখ্য চিকিৎসা আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনে কথা বললেও ক্যামেরার সামনে কোনও কথা বলতে অস্বীকার করেন।