Case Against Twitter: শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত বিষয়বস্তু থাকার অভিযোগ, ট্যুইটারের বিরুদ্ধে মামলা
NCPCR had filed the complaint against the micro-blogging platform. | ট্যুইটারের বিরুদ্ধে পকসো ও তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল। শুরু করা হয়েছে তদন্ত।
নয়াদিল্লি: শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত বিষয়বস্তু বা লিঙ্ক এবং শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত বিষয়বস্তু থাকার অভিযোগে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল। পকসো ও তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের অভিযোগের ভিত্তিতেই ট্যুইটারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বছরের মে-তে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত বিষয়বস্তু দেখা গিয়েছে। তার ভিত্তিতেই ট্যুইটারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের প্রধান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো জানিয়েছেন, ‘ট্যুইটারের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য দেওয়া এবং পকসো আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এফআইআর করা হয়েছে। আমরা কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি, শিশুদের জন্য যতদিন না ট্যুইটার নিরাপদ বলে প্রমাণিত হচ্ছে, ততদিন শিশুদের ট্যুইটারে অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।’
প্রিয়াঙ্ক আরও জানিয়েছেন, তাঁরা শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত বিষয়বস্তু নিয়ে ট্যুইটার ইন্ডিয়ার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাঁদের জানানো হয়, ট্যুইটারে শিশু পর্নোগ্রাফি সংক্রান্ত বিষয়বস্তু শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের আওতায় পড়ে না। এরপরেই ট্যুইটারের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সম্প্রতি একাধিক বিতর্কে জড়িয়েছে ট্যুইটার। কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা নতুন তথ্য-প্রযুক্তি আইন মানতে অস্বীকার করা, কেন্দ্রের শাসক দলের একাধিক নেতা ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অ্যাকাউন্ট সাময়িকভাবে ব্লক করে দেওয়া, ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টের ব্লু টিক সরিয়ে দেওয়া, ভারতের বিকৃত মানচিত্র প্রদর্শন সহ বিভিন্ন বিষয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে এই মাইক্রো ব্লগিং সাইট। বিভিন্ন মহল থেকে এদেশে ট্যুইটার নিষিদ্ধ করে দেওয়ার দাবিও উঠেছে। এবার ট্যুইটারের বিরুদ্ধে সংবেদনশীল বিষয়ে মামলা দায়ের হওয়ায় বিতর্ক অন্য মাত্রা পেল। আইনি লড়াইয়ে কোন পক্ষ জয় পাবে, সেটা আদালতেই ঠিক হবে। তবে ট্যুইটারের বিরুদ্ধে জনমত প্রবল হচ্ছে।