রাত পোহালেই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন, শাহিনবাগে বাড়তি নজর, প্রযুক্তি-ব্যবহারে জোর প্রশাসনের
মোট ৬৭২ জন প্রার্থী এই ভোটের ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এবারের নির্বাচনে প্রযুক্তির প্রভূত ব্যবহার করতে চলেছে কমিশন। প্রশাসনের হাতিয়ার মোবাইল অ্যাপ, কিউআর কোড ও সোশ্যাল মিডিয়া।
নয়াদিল্লি: রাত পোহালেই বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে দিল্লিতে। সিএএ-এনপিআর-এনআরসি-র আবহে ৭০-আসনের দিল্লি বিধানসভার ভোটগ্রহণ আগামীকাল। কিউআর কোড থেকে মোবাইল অ্যাপ-- এবারের দিল্লি ভোটে প্রযুক্তিকে বিশালাকারে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি, রাজধানী সহ গোটা দিল্লি জুড়ে করা হয়েছে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা। বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে শাহিনবাগ সহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর অঞ্চলে। যেমন শাহিনবাগে প্রায় দুমাস ধরে চলছে সিএএ-বিরোধী আন্দোলন। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে দিল্লির মুখ্য নির্বাচনী দফতরের তরফ থেকে ওই অঞ্চলের পাঁচটি থানাকে ‘উত্তেজনাপ্রবণ’ ঘোষণা করেছে। ভোটারদের আশ্বস্ত ও আস্থা বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবারের ভোটের লড়াই মূলত ত্রীমুখী-- শাসক আম আদমি পার্টি ছাড়াও ভোট-যুদ্ধে রয়েছে কংগ্রেস ও বিজেপিও। মোট ৬৭২ জন প্রার্থী এই ভোটের ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আগামীকাল প্রায় ১.৪৮ কোটি মানুষ নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। ভোটারদের মধ্যে ৮১ লক্ষ পুরুষ ও ৬৬ লক্ষ মহিলা। এছাড়া, ১১ হাজার সার্ভিস ভোটার ও ৮৬৯ জন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। ২.৩২ লক্ষ প্রথম বারের ভোটার। প্রবীণ ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ। ভোটে যে কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা রুখতে নিরাপত্তার ব্যবস্থাকে জোরদার করেছে কমিশন। ১৯০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দিল্লিতে এর সিকি শতাংশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। মোট বুথের সংখ্যা ১৩,৭৫০। এবারের নির্বাচনে প্রযুক্তির প্রভূত ব্যবহার করতে চলেছে কমিশন। মোবাইল অ্যাপ থেকে শুরু করে কিউআর কোড ও সোশ্যাল মিডিয়া-- সবকিছুকে সঙ্গে নিয়েছে কমিশন।