চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ফের জম্মুর আকাশে ড্রোন-আতঙ্ক
গতকাল রাতে জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনের কাছে সন্দেহজনক ড্রোনের দেখা মেলে।
শ্রীনগর: ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি, তার মধ্যে ফের জম্মুর আকাশে ড্রোন-আতঙ্ক ছড়াল। গতকাল রাতে জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনের কাছে সন্দেহজনক ড্রোনের দেখা মেলে। এর আগে মঙ্গলবার রাতে আরনিয়া সেক্টরে আন্তর্জাতিক সীমানার কাছে আকাশে চলন্ত আলোকোজ্জ্বল বস্তু দেখতে পান বিএসএফ জওয়ানরা। গুলি চালানোর পর সেটি পাক সীমান্তের দিকে চলে যায়। গত ২৬ জুন, গভীর রাতে, ড্রোনের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় জম্মুর এয়ারফোর্স স্টেশনে।
এয়ার ট্রাফিক সিগনাল বিল্ডিংয়ের পাশের একটি বাড়ির ছাদে এসে পড়ে বোমা। বিস্ফোরণে আহত হন ২ জওয়ান। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কালুচক সেনাঘাঁটির কাছে ড্রোন দেখা যায়। ড্রোন লক্ষ্য করে গুলিও চালানো হয়। পরের দিন সুঞ্জুয়ানে এক রাতে ৩ বার আকাশে সন্দেহজনক ড্রোনের দেখা মেলে। এভাবে বারবার জম্মুর আকাশে ড্রোনের দেখা মেলায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, পুলওয়ামায় মঙ্গলবার রাত থেকে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই জঙ্গির। নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও সংঘর্ষ চলছে। পাশাপাশি, কুলগামের রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ কেজি আইইডি। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাতে পুলওয়ামার সংশ্লিষ্ট অঞ্চলটি ঘিরে ফেলে তল্লাশি শুরু করেন।
এরপরেই জঙ্গিদের সঙ্গে শুরু হয় গুলির লড়াই। খতম হয় তিন জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা গিয়েছে। সে হল পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার কম্যান্ডার আয়াজ ওরফে আবু হুরেইরা। বাকি দু’জন স্থানীয় জঙ্গি।
উল্লেখ্য, গতকাল খবর মেলে ট্রেনে বোমা রেখে বিস্ফোরণ ঘটানোর ছক কষছে আইএস। স্বাধীনতা দিবসের আগে এই পরিকল্পনা বলেই সূত্রের খবর। বুধবার এই খবর আসা মাত্রই বিহারের বেশ কিছু স্টেশনে হাই অ্যালার্ট জারি করা হয়। ট্রেনে নিরাপত্তা বাড়াতে নির্দেশ দিয়ে রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের কাছে গোপন চিঠি পৌঁছয়।
বিস্ফোরণের আশঙ্কায় বাড়তি নজর দেওয়া হয়েছে ভোজপুর, বক্সার, জহানাবাদ, নওয়াদা স্টেশন। গয়া, নালন্দা, লখীসরাই, বেগুসরাই, জামুই স্টেশনেও নজরদারি চলছে। জানা গিয়েছে, জঙ্গিদের হাতে থাকতে পারে টাইমার লাগানো বিস্ফোরক। উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে দ্বারভাঙা স্টেশনে বিস্ফোরণ হয়েছে। ১৫ অগাস্টের আগে ফের বিস্ফোরণের ছক কষতে পারে বলেই সন্দেহ গোয়েন্দাদের।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, তাঁরা জানতে পেরেছেন উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং পঞ্জাবের যেসব শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে পরিযায়ী শ্রমিকরা যাচ্ছেন সেই ট্রেনগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনায় রয়েছে জঙ্গিরা। তাতে মদত দিচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা। পঞ্জাবের স্লিপার সেল গুলিকে ইতিমধ্যেই অ্যাক্টিভ করে তুলেছে তারা। গোয়েন্দাদের কাছে আরও খবর, আইএসআই এই ট্রেনগুলিতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছে জঙ্গিদের।