দিল্লি হিংসা: শহিদের মর্যাদা, স্ত্রীকে চাকরি- জোড়া দাবি নিহত পুলিশ কনস্টেবলের পরিবারের
সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সোমবার মৃত্যু হয় দিল্লি পুলিশের গোলকপুরী থানার হেড কনস্টেবল রতন লালের।
নয়াদিল্লি: দিল্লি-সংঘর্ষে নিহত কনস্টেবল রতন লালকে শহিদের মর্যাদা দেওয়ার দাবি তুলল পরিবার। একইসঙ্গে, নিহতের স্ত্রীকে সরকারি চাকরি দেওয়ারও দাবি তোলা হয়েছে।
মঙ্গলবার, নিহত পুলিশকর্মীর স্ত্রীকে চিঠি লিখে শোকপ্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি লেখেন, আপনার স্বামীর অসময়ের মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করছি। আপনাকে আমি সমবেদনা জানাই। উনি ভীষণ সাহসী ও কর্তব্যপরায়ণ পুলিশকর্মী ছিলেন, যিনি কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছেন। সত্যিকরের সেনার মতো তিনি দেশসেবায় চরম বলিদান দিয়েছেন। আপনার এই দুঃসময়ে গোটা দেশ আপনার পাশে রয়েছে।
রতন লালের বাড়ি রাজস্থানের বিকানেরে। এদিন ভোরে পৌঁছয় নিহত কনস্টেবলের দেহ। পৌঁছতেই, দেহ ঘিরে এই জোড়া দাবি নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিবারের সদস্য, পরিজনরা। পুলিশকর্মীকে শহিদের মর্যাদা ও স্ত্রীর চাকরির দাবিতে দিল্লি-বিকানের হাইওয়ে অবরোধ করেন এলাকাবাসী।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, সংঘর্ষের মাঝে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে সোমবার মৃত্যু হয় দিল্লি পুলিশের গোলকপুরী থানার হেড কনস্টেবল রতন লালের। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, পুলিশকর্মীর বাঁ কাঁধে লাগে গুলি।
প্রসঙ্গত, সিএএ নিয়ে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে রাজধানী। উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে একের পর এক জায়গায় সংঘর্ষ বেঁধেছে। গত তিনদিন ধরে চলা হিংসায় একাধিক পুলিশকর্মী জখম হয়েছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন শাহধারার ডিসিপি অমিত শর্মাও। এদিন অমিত শর্মার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন অমিত শাহ। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।